Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩

“মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, দেখুন কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়”, ব্রাত্যকে পাল্টা জবাব দিলেন বোস

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
“মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, দেখুন কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়”, ব্রাত্যকে পাল্টা জবাব দিলেন বোস

এই সংঘাতের শেষ কোথায়? রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নিয়ে এখন সবার এই একটাই প্রশ্ন, তবে এই সংঘাত থামাতো দূরের কথা ক্রমেই বেড়ে চলেছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত৷ কখনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ্যে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করছেন । আবার কখনও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নিজের অবস্থানে অনড় থেকে কঠোর আচরণ করছেন ৷

এরই মধ্যে শুক্রবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্যপালকে ‘মহম্মদ বিন তুঘলকে’র সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। শনিবার সল্টলেকে এক অনুষ্ঠান শেষে ব্রাত্য বসুর সেই বক্তব্যের পালটা জবাব দিলেন রাজ্যপাল। আচার্য বলেন, নিজের কাজের জন্য তিনি নিজে গর্বিত। আরও কী ঘটতে চলেছে তার জন্য এদিন মাঝরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথা জানিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা ৷

শুক্রবার বিকাশ ভবনে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কটাক্ষ করতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেছিলেন, “মনে হয়েছিল আলাউদ্দিন খলজি ৷ কিন্তু ব্যাপারটা যে মহম্মদ বিন তুঘলক হয়ে যাবে, সেটা বুঝতে পারিনি ৷” এ বিষয়ে এদিন এক প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাজ্যপাল বলেন, “আমি আমার কাজের জন্য গর্বিত। আজ মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন । দেখুন কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় ।”

দিনকয়েক আগে মাঝরাতে রাজ্যের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সে বিষয়ে রাজ্যের শিক্ষা দফতর কিংবা সার্চ কমিটির সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা বা পরামর্শ বা সুপারিশ কোন কিছুই গ্রহণ করা হয়নি। এই ঘটনায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তো বটেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। দিনকয়েক আগে হুঁশিয়ারির সুরে অর্থনৈতিক অবরোধ তৈরি এমনকী প্রয়োজনে রাজভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভেরও হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুক্রবার রাজভবনের বাইরে তৃণমূল প্রভাবিত অধ্যাপক সংগঠনের তরফেও বিক্ষোভ দেখানো হয় ।

এই বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “আমি নিয়োগের ব্যাপারে সচেতন, কারও হতাশার বিষয় নয় ।” রাজ্যপালের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “উনি তো মাঝরাতেই কাজ করেন । তার নমুনা তো দেখাই যাচ্ছে । রাজ্য সরকারের টাকায় রাজভবনে বসে যা খুশি করছেন । সরকার টাকা বন্ধ করে দিলে উনি এইসব করতে পারবেন তো ?” শিক্ষামন্ত্রী লিখেছেন, “চেতন! সচেতন! সচেতন! শহরে নতুন ভ্যাম্পায়ার এসেছে । শহরবাসী নিজেরা সতর্ক থাকুন ।” পালটা বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক অধিকারের ভিত্তিতে কাজ করছেন । আইন মেনে যথাসাধ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন । তৃণমূল কংগ্রেস সংবিধান মানছে না । সংবিধান বিরোধী কাজ করছে । যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানছে না । শিক্ষামন্ত্রী ঔরঙ্গজেবের মতো আচরণ করছেন । সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, “শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্তব্ধ করার জন্য রাজ্য ও রাজ্যপাল এসব কীছেন। রাজ্যপাল যা করছেন সেই কাজ করার এক্তিয়ার তাঁর আছে তো?”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!