Advertisement
  • দে । শ
  • জানুয়ারি ১০, ২০২৪

সন্দেশখালির ঘটনায় ইডির হাইকোর্টে মামলার আবেদন মঞ্জুর। সিএস, এইচএস, ডিজি-কে তলব রাজ্যপালের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সন্দেশখালির ঘটনায় ইডির হাইকোর্টে মামলার আবেদন মঞ্জুর। সিএস, এইচএস, ডিজি-কে তলব রাজ্যপালের

ইডির প্রধানের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের পরই ফের রাজভবনে মুখ্যসচিব বা সিএস, স্বরাষ্ট্রসচিব এইচএস এবং রাজ্য পুলিষের  ডিজিকে তলব করলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।

গত শনিবার সন্দেশখালিতে ইডির অফিসাররা তৃণমূল নেতা শেখ শাজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তাঁদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। রক্তাক্ত হন দুই ইডি আধিকারিক। এরপর সোমবার মধ্যরাতেই কলকাতায় আসেন ইডির ডিরেক্টর রাহুল নবীন। মঙ্গলবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে তাঁর। আর এই বৈঠকের পরই ফের রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যের কাছ থেকে রেশন দুর্নীতি মামলার বিস্তারিত রিপোর্ট নিয়ে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজিকে আসতে বলেন রাজ্যপাল।

শনিবার শেখ শাজাহানের বাড়ির সামনেই শুধু নয়, ওই একই দিনে রাতে বনগাঁ থেকে দাপুটে তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ফেরার পথেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল ইডিকে। তখনও ইডির গাড়ি লক্ষ্য ইট বৃষ্টি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ইডির একটি গাড়ির পিছনের দিকের কাঁচ ভেঙে গিয়েছিল।

সন্দেশখালির ঘটনায় ইতিমধ্যেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেছেন, যে ঘটনা ঘটেছে, তা প্রত্যেকের কাছে লজ্জার। সরকারকেও কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেছিলেন, সরকার যদি হিংসা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংবিধান মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার মুখ খুলেছেন। তিনিও কঠোর ভাষায় বলেছেন, যারা আইন ভেঙেছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এসবের পরও ইডির তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছিল। ইডির তরফে যে সব অভিযোগগুলি করা হয়েছিল, তার মধ্যে অনেকগুলি ধারাই বাদ দিয়ে বেশিরভাগ জামিনযোগ্য ধারায় এফআইআর করা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল ইডি। বুধবার ইডি সন্দেশখালির ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে এই ঘটনায় মামলার আবেদন করলে আদালত অনুমতি দেয়, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি।

এদিকে সন্দেশখালির ঘটনায় ইডির আদালতে যাওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “ইডি যে ভাবে বেছে বেছে তৃণমূলের নেতাদের বাড়িতে যাচ্ছে, তাতে একটা স্পষ্ট যে ইডি এখন বিজেপির শাখা সংগঠন হিসাবে কাজ করছে।”
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এই বিষয়ে বলেন, “সন্দেশখালিতে একজন দুর্বৃত্তের বাড়িতে ইডি কেন পুলিশের অনুমতি না নিয়ে গিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন করেছে রাজ্যের শাসক দলের নেতারা। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে বাংলায় আসলে জঙ্গলরাজ চলছে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!