শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সাংস্কৃতির অখন্ড, নক্ষত্রখচিত আকাশ হয়ে উঠল নগরভবনের সভা।
রাজশাহিতে মেয়র আয়োজিত সংবর্ধনা সভা। উপস্থিত ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ—এর সদস্যরা, দুদেশের বিশিষ্টজনেরা। ছবি: অর্য্যাণী ব্যানার্জি ।
রাজশাহিতে ভারত-বাংলাদেশ পঞ্চম সাংস্কৃতিক মিলন উৎসবে, সংবর্ধনা জানানো হল সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীকে । সমাজ সেবা, শিক্ষাপ্রসার আর দুই বাংলার সাংস্কূতিকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে সত্যম রায়চৌধুরীর অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর একান্ত উদ্যোগে ইউরোপের গত কয়েক বছর ধরে বঙ্গসংস্কৃতি মেলা হচ্ছে। এতে অংশগ্রহণ করেছেন। দুইবাংলার বিজ্ঞজনেরা। রাজশাহিতেও একই চিত্র দেখা গেল। শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ আয়োজিত নগরভবনের সমাবেশ হঠাৎ যেন নক্ষত্রখচিত অখণ্ড আকাশ হয়ে উঠল। শহরের মেয়র এ এইচ এম কামরুজ্জামান, বাংলাদেশের কূষিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ত্রিপুরার মন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী, শান্তনু রায়চৌধুরী, মৌ রায়চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আরোফিনের মতো সামাজিক নেতারা মঞ্চে বসে আলো ছড়াতে থাকলেন। এরই মাঝে, দুই দেশের মৈত্রী ও আত্মিক বন্ধনের প্রতীক হিসেবে গোলাপ ছড়িয়ে দেওয়া হল, মঞ্চে, মঞ্চের বাইরেও।
সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির আচার্য সত্যম রায়চৌধুরীকে সংবর্ধনা জানাচ্ছেন শামসুল আরোফিন। শনিবার রাজশাহিতে শহরের মেয়র আয়োজিত সভায়। ছবি: অর্য্যাণী ব্যানার্জি।
শান্তনু রায়চৌধুরীর কণ্ঠে জেগে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ—আলোকের ঝর্ণা ধারায়/ সুরে সুরে মিশে গেল ওপার আর এপার বাংলার কাঙ্খিত উচ্ছ্বাস। এরকম মুহূর্তেই বঙ্গ সাংস্কৃতির এক নিষ্ঠ উপাসক সত্যম রায় চৌধুরীকে সংবর্ধনা জানালেন নাগরিকরা। সত্যম তখন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিনীত। মোহিত। তাঁর হাতে সংবর্ধনাপত্র আর স্মারক তুলে দিলেন শামসুল আরেফিন। সাংস্কৃতিক সংগঠক আর বিদগ্ধ লেখক। ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতি অবিভাজ্য, বন্ধন তার বাধ মানেনা, সাংস্কৃতিক দেশভাগের অপচেষ্টাকে তৃণখণ্ডের মতো ভস্ম করে দিতে চায় দুই বাংলার লোকায়ত ঐতিহ্য—তারই সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বেজে উঠল দুই বাংলার মিলন মেলার উৎসবে, অঙ্গীকারে, গুণীজনের সংবর্ধনায়।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34