- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ডিসেম্বর ২, ২০২৩
চুরুলিয়ার সংগ্রহশালায় নজরুলের পদক আসল নয় । জাতীয় স্বার্থেই দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে পদক, দাবি সোনালি কাজীর
কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্য সোনালি কাজীর দাবি, “কবির জন্মস্থান চুরুলিয়ার সংগ্রহশালায় রাখা বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের “জগৎতারিণী” ও “পদ্মভূষণ” পদক দুইটি আসল নয়, আসল পদক দুটিই আছে কাজী নজরুল ইসলামের পরিবারের সদস্য প্রয়াত কল্যাণী কাজীর পুত্র কাজী অনির্বাণের কাছে।”
সোনালি কাজীর দাবি, “জাতীয় স্বার্থে নজরুলের ‘জগৎতারিণী’ ও ‘পদ্মভূষণ’ পদক দুটি চুরুলিয়ার সংগ্রশালায় ফিরিয়ে আনতে হবে।” রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্টি সঠিক গুরুত্বের সঙ্গে সংরক্ষণ করার দাবি জানিয়ে চিঠি লিখবেন বলে জানিয়েছেন সোনালি কাজী।
সোনালি কাজীর দাবি করেছেন, বেশ কিছুদিন আগে নিউ জার্সিতে একটি প্রদর্শনীতে কাজী নজরুলের এই পদক দুটি তিনি দেখেছেন।
“ব্যক্তিগত স্বার্থে কেউ ব্যবসা করার জন্য এই পদকগুলি চুরুলিয়া থেকে নিয়ে গেছে,” ভাষ্য সোনালির।
কবির নাতনী সোনালি কাজী বলেন, “আমার বাবা যখন নজরুল একাডেমি তৈরির সময় থেকে ওই একাডেমির সম্পাদক ছিলেন। মাঝে কিছুটা সময় আমার বাবা সম্পাদক পদে ছিলেন না। তখন আমার জ্যাঠা ছিলেন সম্পাদক। সেই সময় কবির পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী ও তাঁর বড় পুত্র অনির্বাণ কাজী চুরুলিয়ায় এসেছিলেন। অনির্বাণ আমার জ্যাঠার কাছে বলেন, জ্যেঠু, আমায় ওই চাকতি দুটো দাও। তখন ওরা ওই আসল পদক দুটো নিয়ে যায়। আবার যখন পরে আমার বাবা সম্পাদকের দায়িত্ব পান, তখন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় যখন সংগ্রহশালা ও একাডেমির দায়িত্ব নেয় তখন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বাবা জানিয়ে দেয় এই দুটি পদক আসলে রেপ্লিকা।” সোনালি কাজীর অভিযোগ, “২০০০ সালে ওই পদক দুটি এখান থেকে নিয়ে গিয়েছেন কবির পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী ও তাঁর পুত্র অনির্বাণ কাজী।”
“দোলনচাঁপা” নজরুল ফাউন্ডেশনের সম্পাদক সোনালি কাজী বলেন, “বহু ডলারের বিনিময়ে আমেরিকার নিউ জার্সিতে নজরুলকে নিয়ে একটি প্রদর্শনী হয়েছিল। সেখানে ওই দুটি আসল পদক দেখানো হয়েছিল। ওই পদক ওদের অনির্বাণের কাছেই আছে। অনিন্দিতা কাজীও ওই প্রদর্শনীর সময় অনির্বাণের সঙ্গে ছিল।”
নজরুলের জন্মস্থান ভারতের বর্ধমানের চুরুলিয়ায় তাঁর বসত বাড়িতে একটি সংগ্রশালা রয়েছে। সংগ্রহশালায় কবির খাট বিছানা থেকে শুরু করে তাঁর ব্যবহৃত গ্রামোফোন, পোশাক, কিছু পান্ডুলিপিসহ রাখা আছে। সে সবের সঙ্গে আছে ভারত সরকারের দেওয়া ‘পদ্মভূষণ’ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ‘জগৎতারিণী’ পদক। তবে আসল পদক নয়, রেপ্লিকা।
❤ Support Us