- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১০, ২০২৩
আইএসআইএস যোগে পোরবন্দরে ধৃত চার। জড়িত আরো অনেকে, অনুমান তদন্তকারীদের

ইসলামিক স্টেটসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চার সন্দেহভাজনকে পোরবন্দরের উপকূলবর্তী এলাকা থেকে গ্রেফতার করল গুজরাট পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন একজন মহিলা। ভারতীয় ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ পরিচালনায় জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। তদন্তকারীদের অনুমান, এদের দলের সঙ্গে আরো অনেকে জড়িত থাকতে পারে। তাদের ব্যাপারের আরো অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
গোয়েন্দাদের দাবি, প্রাথমিক তদন্তে তাঁরা জানতে পেরেছেন ধৃত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের সঙ্গেই আইএসআইসের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। জঙ্গি সংগঠনটির যে নেটওয়ার্ক রয়েছে এরা তারই অংশ।। তাঁরা বলেছেন, পাক সীমান্তে অবস্থিত সন্ত্রাসবাদীদের একটি গোষ্ঠী তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তুলেছে। গত বছর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় তাঁরা। বহু দিন ধরেই তাঁদের সম্পর্কে খবর আসছিল। নজর রেখেছিলেন তাঁদের গতিবিধির ওপর। সম্প্রতি তাঁরা খবর পান যে একদল তরুণ-তরুণী সমুদ্র পথে পোরবন্দর থেকে ইরান যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেখানে ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান প্রভিন্স বা আইএসকেপিতে যোগ দেবে তাঁরা। এক্ষেত্রে আবু হামজা নামে এক ব্যক্তির তাদের সাহায্য করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরার পরে যান চার জন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,তাঁদের সঙ্গে কারা কারা আর তাঁদের সঙ্গে যুক্ত, কোনো নাশকতামূলক কাজের পরিকল্পনা আছে কিনা তা নিয়েই মূলত জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তকারীদের আশা, বহু তথ্যের হদিশ পেতে পারেন তাঁরা।
গুজরাট মহাত্মা গান্ধির জন্মভূমি এবং কর্মভূমিও। ১৯১৫ সালে দেশের ফেরার পর এখানেই গড়ে তুলেছিলেন সবরমতী আশ্রম। অহিংসা ও সত্যাগ্রহের পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রাথমিক পরিকল্পনা রচিত হয়েছিল। ১৯৩০ সালে ৭৩ জন সত্যাগ্রহীকে নিয়ে ডাণ্ডি উপকূলে গিয়ে সমুদ্রের জল থেকে নুন তৈরি করে লবণ আইন অমান্য করে গ্রফতার হয়েছিলেন। শুধু তিনিই নন, মহাবীর ও তাঁর দর্শনেও সিক্ত গুজরাটের সংস্কৃতি। আজও বহু জৈন ধর্মাবলম্বী রয়েছেন যাঁরা নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের ধর্ম পালন করে চলেছেন। অহিংসার তীর্থে নাশকতামূলক কাজ চালানোর অভিযোগ উঠে আসা অত্যন্ত দুঃখের।
❤ Support Us