- প্রচ্ছদ রচনা
- জুলাই ১২, ২০২২
টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি গুজরাতে, একদিনে মৃত ৭, সাহায্যের আশ্বাস মোদির

না থামা বৃষ্টিতে বেহাল গুজরাত । জলমগ্ন রাস্তাঘাট, রেললাইন। জলবন্দি বহু মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৭। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে রাজ্যের অধিকাংশ নদী। মৌসম ভবনের খবর অনুযায়ী আগামী পাঁচ দিন অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে গুজরাতে। খেরা জেলার নাদিয়াদে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ছোটা উদয়পুরে ভেঙে পড়েছে সেতু। গুজরাতের বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী রাজেন্দ্র ত্রিবেদী জানিয়েছেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এখনও চলছে অবধি বৃষ্টি যার জেরে বন্যার বিপত্তি। মোট ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিচু এলাকা থেকে অন্তত ৭০০ জনকে সরানো হয়েছে। এ পর্যন্ত ৯ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলমগ্ন আমদাবাদ, পালদি, যোধপুর, বোদাকদেভ, উসমানপুরার বিস্তীর্ণ এলাকা।
প্রশাসন সূত্রে খবর, শুধুমাত্র অম্বিকাই নয়, নর্মদা নদীও উপচে পড়ছে। কার্জন ড্যামের ন’টি গেটই খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রায় ২ লক্ষ ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে সেখান থেকে। ফলে আশেপাশের অঞ্চলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে ।কেন্দ্রের তরফ থেকে গুজরাতকে সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী উদ্ধারকাজ শুরু করে দিয়েছে। নভসারী, গির সোমনাথ, সুরত, রাজকোট, বনসকাঁঠা, বলসাড়, ভাবনগর, কচ্ছ, জামনগর, অমরেলী, দ্বারিকা এবং জুনাগড়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৩টি দল মোতায়েন রয়েছে। ভারতীয় উপকূলরক্ষা বাহিনীও যুদ্ধ তৎপরতায় উদ্ধার কার্য চালাচ্ছে। বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গুজরাতের দক্ষিণ এবং মধ্যভাগের জেলাগুলি। এই জেলাগুলির অধিকাংশ বাড়ির একতলা জলে ডুবে গেছে।
বর্ষা আসার পরেই সারা দেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত এক লক্ষ মানুষ। তেলেঙ্গানায় বন্যার ফলে কারওর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু অন্তত ১৫টি বাড়ি ভেঙেছে বলে জানা গিয়েছে। ছ’শোর উপরে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ভারতীয় আবহ দপ্তরের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে গোয়া, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায়। আগামী পাঁচদিনে ভারী বৃষ্টি হতে পারে এই রাজ্যগুলিতেও।
❤ Support Us