Advertisement
  • ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
  • জানুয়ারি ২৪, ২০২৩

হলদির উপকণ্ঠে সাহিত্যের মহোৎসব সমাপ্ত, উজ্জীবিত স্মৃতি নিয়ে ফিরলেন অন্তত সাড়ে চারশ কবি ও লেখক

'বিশ্ব বাংলা'-র চেতনায় ঘন আনন্দের নতুন বিন্যাস

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
হলদির উপকণ্ঠে  সাহিত্যের মহোৎসব সমাপ্ত,  উজ্জীবিত স্মৃতি নিয়ে ফিরলেন অন্তত সাড়ে চারশ কবি ও লেখক

হলদিয়া শিল্প নগরীতে, আনন্দ ঘন পরিবেশে, হলদি নদীর উপকণ্ঠে, সোমবার সন্ধ্যায় শেষ হল  সাহিত্যের  মহোৎসব। উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আর প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ড. লক্ষ্মণ শেঠের মুখে তখন তৃপ্তির উদ্ভাস। হাততালিতে মুখরিত প্রাঙ্গন, সুমধুর বচনে  গুঞ্জরিত কবি ও লেখকদের উদ্দীপনা। ২১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জানুয়ারি টানা চারদিন কবিতা আর গল্প পাঠে যোগ দিয়েছেন বিশ্ব বাংলার সাড়ে চারশ গদ্যকার আর কবিতার উজ্জীবিত নারী-পুরুষ। লেখকদের  লেখক  শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বয়সের ভারকে তোয়াক্কা করেন নি। শারীরিক দুর্বলতাকে বিলকুল আমল দেন নি শক্তিমান কবি শ্যামলকান্তি দাশ।  হলদিয়া সাহিত্য উৎসবের অন্যতম স্থপতি যিনি। মঞ্চে, মহফিলে তাঁর উপস্থিতিতে প্রাণিত বোধ করেছেন তাঁর বন্ধুরা, তাঁর অনুরাগীরা। শ্যামল বিরল ঘরানার কবি, আর সাহিত্য প্রেমের ভিন্ন রকমের সংগঠক। প্রয়াত তমালিকা পণ্ডা শেঠ আর শ্যামলের স্বপ্নের বাস্তবকে বর্ণে বর্ণে পূর্ণ হতে দেখে খুশি লেখক ও কবি মহল। তাঁদের স্বপ্নকে বাড়িয়ে তুলেছেন  যেমন লক্ষ্মণ শেঠ, তেমনি শেঠ -দম্পতির সন্তান ও ‘আপন জন’ পত্রিকার সদস্যরা।এবার নতুন প্রাণ, নতুন আশা,নতুন অঙ্গীকারের সঙ্গে যুক্ত হল  হলদিয়ার সাহিত্য মনস্কতা। পেছনে, সামনে হাতে হাতে হাত ধরলেন আই কেয়ারের সদস্যরা, যাঁরা তমালিকার জারিত স্বপ্নকে আর নানা রকম কর্মকাণ্ডকে জাগিয়ে রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ  ।

সাহিত্য ছাড়া সমাজ চলে না,  একথা  অনুচ্চারিত উচ্ছ্বাসে জানিয়ে দিল উর্ধারোহী উৎসব। বিশেষ বক্তা বা আলোচক হিসেবে যাঁদের আসার কথা ছিল, দুজন ছাড়া প্রত্যেকেই এসেছেন, বলেছেন আর বাড়ি ফিরেছেন প্রফুল্ল চিত্তে। প্রতিদিনই অনুষ্ঠানে হাজির  লেখক- কবিদের নিবিড় আত্মীয় লক্ষ্মণ।  লক্ষ্মণের  রাজনীতির রূপান্তর তাঁকে বদলাতে পারে নি,বরং নতুন করে সাহিত্য সংযোগ বাড়িয়েছে। গান্ধীজি, নেহেরু, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ, সুভাষ চন্দ্র বসু প্রমুখ কংগ্রেসের সঙ্গে  সাহিত্যের বন্ধনকে নিবিড় করতে চেয়েছিলেন। পরে তা কখনও উচ্চকিত, স্তিমিত চেহারা ধারণ করেছে, কিন্তু স্রোতহারা হয়নি । লক্ষ্মণ বাবু তাঁর অধ্যবসায়, তাঁর ব্যবহারিক রাজনীতির ভেতর দিয়ে ওই নিত্য জাগ্রত ট্র্যাডিশনকে সম্ভবত জড়িয়ে থাকতে চাইছেন। এটাই তাঁর  এবং বিশ্ব বাংলা সাহিত্য উৎসবের অন্যতম অভিমুখ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!