Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪

সংসদ ঘেরাও পরিকল্পনা, কৃষক বিক্ষোভ মিছিল রুখতে পুলিশি তৎপরতা রাজধানী সীমান্তে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সংসদ ঘেরাও পরিকল্পনা, কৃষক বিক্ষোভ মিছিল রুখতে পুলিশি তৎপরতা রাজধানী সীমান্তে

রাজধানী দিল্লির প্রবেশপথে দেশের কৃষকদের বিক্ষোভের তিনবছর পর আবারও আন্দোলনের পথে হাঁটছেন দেশের অন্নদাতারা । তাদের সংসদ অভিযানকে রুখতে ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি সীমান্ত অঞ্চল এবং দিল্লি-হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ সীমান্তে বাড়ছে পুলিশি তৎপরতা । ইতিমধ্যেই দিল্লি নয়ডা সীমান্ত জুড়ে গাড়ি তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে রাপিড অ্যাকশন ফোর্স, দাঙ্গা নিয়ন্ত্রক গাড়ি, শুরু হয়েছে ড্রোন নজরদারি । কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় রাজধানী সীমান্ত এলাকায় বাড়ছে যানজট ।নয়ডা এবং গ্রেটার নয়ডার বিভিন্ন কৃষক সংগঠনের মিছিল দিল্লিতে প্রবেশ রুখতে, সীমান্ত অঞ্চলে সিমেন্ট ও বালির বস্তা এবং কাঁটা তার দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে।

সরকারের জমি অধিগ্রহনে বাড়তি ক্ষতিপূরণ এবং নতুন জমি কৃষি উপযুক্ত করে তোলার দাবিতে গত কয়েকমাস জুড়েই নয়ডার কয়েকটি কৃষক সংগঠন তাদের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে । সেই বিক্ষুব্ধ কৃষকদের একাংশই আজ সংসদ ঘেরাও এর পরিকল্পনা করেছে । তাদের রুখতেই তৎপর নয়ডা পুলিশ । ইতিমধ্যেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে একাধিক বিধি নিষেধ জারি করেছে তারা ।

দিল্লি সীমান্ত এলাকায় কৃষক মিছিলকে ঘিরে দেশ বিরোধী কার্যকলাপের আশঙ্কাও করছে স্থানীয় প্রশাসন । সংবাদ সংস্থা এএনআইএকে নয়ডার শীর্ষ সরকারি আধিকারিক শিবহরি মিনা বলেছেন, অপ্রিতীকর ঘটনা রুখতে, নয়ডা দিল্লি সীমান্ত জুড়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য নয়ডা থেকে দিল্লি সীমান্ত অবরুদ্ধ করা হয়েছে । প্রত্যেক গাড়িতে নিরাপত্তা নজরদারি চালানো হচ্ছে । পাশাপাশি জনসাধারণের যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে । ইতিমধ্যেই বিক্ষুব্ধ কৃষকদের সঙ্গেও আলোচনা শুরু হয়েছে ।

কৃষক মিছিল যাতে কোনো ভাবেই নয়াদিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য বুধবার থেকেই সীমান্ত রুদ্ধ করেছে পুলিশ । ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে । ২০২১ সালে দিল্লি সীমান্তে যেভাবে অন্নদাতাদের মিছিল ও অবস্থান আটকাতে যে তৎপরতা ছিল, তারই পুনরাবৃত্তি দেখা যাচ্ছে বর্তমান সময়ে। বালি এবং সিমেন্টের বস্তা দিয়ে রাস্তা আটকানো হয়েছে নানা জায়গায় । ইতিমধ্যেই বিক্ষুব্ধ কৃষকদের কাছে মিছিল না করার আবেদন জানিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ, এনিয়ে কৃষকদের কাছে একটি নোটিশও পাঠিয়েছেন তারা । মিছিল করলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুক্ষীণ হতে হবে, এই সাবধান বাণীও দেওয়া হয়েছে ওই নোটিশে ।

এদিকে হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবের কৃষকরা রাজধানীতে ট্রাকটর মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । সরকারের কাছে তাদের একাধিক দাবি । কৃষি পণ্যের নূন্যতম সহায়ক মূল্য সুনিশ্চিত করতে আইন প্রণয়ন, শস্য বীমা এবং ২০২০ সালের আন্দোলনের জন্য বিক্ষুব্ধ কৃষকদের বিরুদ্ধে যে এফআইআর করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করতে হবে । পাঞ্জাব থেকে আগত কৃষকদের মিছিল প্রতিহত করতে ইতিমধ্যেই হরিয়ানা পুলিশ কেন্দ্রের কাছে বাড়তি বাহিনীর সহায়তা চেয়েছে ।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!