Advertisement
  • টে | ক | স | ই
  • এপ্রিল ২৩, ২০২২

কাঁচা হোক বা পাকা, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী আম।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
কাঁচা হোক বা পাকা, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী আম।

আম কমবেশি সবারই পছন্দের ফল। গরমের শুরুর দিকেই বাজারে চলে আসে কাঁচা আম । ডাল, শরবত, চাটনি, মাছের টক সহ নানা পদে গৃহিণীরা কাঁচা আম ব্যবহার করেন । বাড়ির খুদে থেকে বড়ো গরমের দুপুরে নুন দিয়ে আম মাখে খেতে কার না ভালো লাগে।আর পাকা আম খাওয়ার জন্য সবাই অপেক্ষা করেন। বৈশাখকে বরণ করে নেওয়া পেছনে রসাল ফলের স্বাদ গ্রহণের সুপ্ত বাসনা সকলের হৃদয়ে উঁকি মারে । কাঁচা না পাকা,কোন ধরনের আম স্বাস্থ্যের জন্য বেশি উপকারী তা নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন আছে।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, আম স্বাস্থ্যের কোনও ক্ষতি করে না। কাঁচা হোক বা পাকা, রোজ একটা করে আম খেলে বরং শরীরের অনেক উপকার হয়। তবে আম খাওয়ার ক্ষেত্রেও কয়েকটি বিষয়ে খেয়াল রাখা জরুরি।

কাঁচা আম : কাঁচা আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। কাঁচা আম যেভাবেই খাওয়া হোক, তা শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে গ্যালিক অ্যাসিড থাকে। যা গরমকালে হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে কাঁচা আম খেলে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দূর হয়। পটাশিয়াম থাকার কারণে কাঁচা আম খেলে ঘাম কম হয়। ক্লান্তিও দূর করতে সাহায্য করে কাঁচা আমের শরবত। কাঁচা আমে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এই ফল খেলে রুক্ষ, শুষ্ক ত্বক উজ্জ্বল দেখায়। তবে অতিরিক্ত না খাওয়াই উচিত। কাঁচা আম বেশি খেলে ডায়রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

পাকা আম: পাকা আমে ক্যালোরি, ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, কার্বোহাইড্রেট, ক্যারোটিন ও পটাশিয়াম রয়েছে। ক্যারোটিন দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। বিশেষ করে শিশুদের দাঁত, চুল এবং দৃষ্টিশক্তির জন্য পাকা আম খুব উপকারী। রোজ একটি করে পাকা আম খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাকা আমের মধ্যে প্রচুর ক্যালোরি রয়েছে, যা শরীরে শক্তি জোগাতে সহায়তা করে। কিন্তু অতিরিক্ত না খাওয়াই ভালো। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। রোজ কতটা পরিমাণ পাকা আম খাওয়া উচিত, পুষ্টিবিদের সঙ্গে পরামর্শ করেই খাওয়া প্রয়োজন। অন্যদিকে যারা ওজন কমানোর জন্য নির্দিষ্ট ডায়েট অনুসরণ করনে, তাদেরকেও অতিরিক্ত পাকা আম খেতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!