Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ২২, ২০২৩

বিবিসির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের শমন, পরবর্তী শুনানি সেপ্টেম্বরে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিবিসির বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টের শমন, পরবর্তী  শুনানি সেপ্টেম্বরে

আবার বিতর্কের কেন্দ্রে বিবিসির তথ্যচিত্র ‘ইণ্ডিয়া দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’। গুজরাটের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সম্প্রচারক সংস্থাকে নোটিশ পাঠাল দিল্লির উচ্চ আদালত। এ ব্যাপারে তাদের ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পরবর্তী শুনানি।

গুজরাতের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটির হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী হরিশ সালভে। আদালতে  তিনি বলেছেন,  ভারতের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই তথ্যচিত্রটিতে। এর ফলে দেশের বিচারবিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীরও ভাবমূর্তি খারাপ হয়েছে। এর পরেই হাই কোর্টের বিচারপতি শচীন দত্ত বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে জবাব দিতে হবে অভিযুক্ত সংস্থাকে।

নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকাকালীন রাজ্যের মুসলিম বাসিন্দাদের কেমন অবস্থায় ছিলেন , তা নিয়ে দুই পর্বে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম । এ প্রসঙ্গে উঠে এসেছিল, ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার কথা। তথ্যপ্রযুক্তি আইন প্রয়োগ করে ইউটিউব-সহ যাবতীয় সমাজমাধ্যম থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার।

কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। ওই মামলায় কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্ত্রীরা কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বিজেপির একাধিক নেতা বিবিসির তীব্র সমালোচনা করেন ও  বলেন, দেশকে খাটো করার জন্যই মিথ্যা এবং বিকৃত তথ্য পরিবেশন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম । ভারতে বিদেশ মন্ত্রক এ প্রচেষ্টাকে ষড়যন্ত্র ও ঔপনিবেশিক মানসিকতার প্রতিফলন বলে আখ্যায়িত করেন। বিরোধিরা অবশ্য দাবি করনে , মোদি শাসনের আমলে ভারতে  গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হয়েছ বার বার। বিবিসির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।  সোমবারের নির্দেশে দেখা গেল তার প্রতিফলন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!