- দে । শ
- আগস্ট ২৬, ২০২৪
বাংলার ধানকে বাঁচিয়ে রেখেছে সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জ কৃষি খামার
কখনও নদীর বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকেছে সব নষ্ট করে দিয়েছে। কখনও প্রবল ঝড়ে তছনছ হয়ে গেছে। গত কয়েক বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয় যেন ভবিতব্য হয়ে উঠেছিল। সে সব কাটিয়ে হিঙ্গলগঞ্জ ব্লক কৃষি খামার বীজ ধান উৎপাদনে এবারে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। উন্নত প্রজাতির ধানের বীজের ফল এবারে অত্যন্ত আশাপ্রদ। ফার্ম ম্যানেজার বিকাশ রায় বলেন, ‘আমাদের ফার্মে এবার দুধেরস্বর, বিধান সুরুচি, গোটরা বিধান এই ৩ উন্নত প্রজাতির ধানের চাষ হয়েছে। সবটাই বীজ ধান। এখান থেকে পশ্চিমবঙ্গ সিড কর্পোরেশনের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের বীজ ধান সরবরাহ করা হবে।’ তিনি বলেন, গত কয়েক বছর বুলবুল, আমফান, ইয়াসের মত ঝড়ের প্রকোপে ফার্মে চাষ ব্যাহত হয়েছে। এবার সেটা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। বিকাশবাবু বলেন, রাজ্য সরকারের পরিকল্পনাতে আমাদের উন্নত জাতের বীজধান সংরক্ষন সম্ভব হচ্ছে। ফার্ম ম্যানেজার আরও বলেন, জৈব পদ্ধতিতে জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধিতে ব্যবহৃত ধৈঞ্চা চাষ করা হয়েছে। এই ধৈঞ্চার বীজ বাইরে সচরাচর পাওয়া যায় না। সরকারি ভাবে সরবরাহ করা হয়। সেটা আমাদের ফার্মে ভালো ফলন হয়েছে। এবারে বাজারে যে সুগন্ধী চাল হিসেবে দুধেরস্বর , গোবিন্দভোগ, কামিনী আতপ চাল বিক্রি হয় তার বীজ ওই ফার্ম তৈরি করে। টালিগঞ্জে রাজ্যের বীজ পরীক্ষাগারে তার গুণমান পরীক্ষার পরে সিড কর্পোরেশনের হাতে যায়। সেখান থেকে বিভিন্ন জেলায় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে বিলি হয়। সে দিক দিয়ে দুধেরস্বর , গোবিন্দভোগ, কামিনী, বিধান সুরুচি, গোটরা বিধান–র মত বাংলার ধানকে বাঁচিয়ে রেখেছে সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জ কৃষি খামার।
❤ Support Us