- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২৬, ২০২৩
মণিপুর নিয়ে মৌনতা ভঙ্গ করবেন প্রধানমন্ত্রী? অমিত-সাক্ষাতের পর জোরালো হচ্ছে জল্পনা

ফাইল চিত্র
ছয় দিনের মার্কিন ও মিশর সফর সেরে রবিবার মধ্যরাতে স্বদেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর দিনই তার সঙ্গে হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরের হাল হকিকত নিয়ে কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখানে বলা দরকার, গোষ্ঠী সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে মণিপুর নিয়ে প্রকাশ্যে একটি শব্দও খরচ করেননি নরেন্দ্র মোদি। বিরোধীরা বহু বার তাঁর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।তাতে পরিস্থিতি বিশেষ কিছু পাল্টায়নি। এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ বিষয়ে কোনো হস্তক্ষেপ করবেন কিনা তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
রবিবার দিল্লিতে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সে রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে কথা বলেছিলেন তিনি। সে সময় রাজ্যের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলায় তার সরকারের পক্ষ থেকে কোন কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে নিয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেন এন বীরেন সিং। মণিপুর নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেছিলেন তিনি । তখনওই জোরালো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা। তাই প্রত্যাশিত ভাবেই মণিপুর নিয়ে বৈঠকে বসলেন মোদি-শাহ।
কয়েকদিন আগেই অবশ্য সর্বদলীয় বৈঠকে মণিপুরের গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে বিরোধীদের একাংশের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছিলেন শাহ। সেদিন তিনি বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শুরুর দিন থেকেই সমগ্র পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন। তাঁর দাবি, সে রাজ্যের পরিস্থিতি বিষয়ে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল ও সংবেদনশীল। বহু বার তিনি এ নিয়ে প্রশাসনের করণীয় কী হওয়া উচিত তা নিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন। কংগ্রেস সহ কয়েকটি দল সে আলোচনায় রাজ্য প্রশাসনের হিংসা মোকাবিলায় ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেন। তারা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং -এর পদত্যাগ দাবি করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের এই দাবির পাল্টা কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে, রবিবার যখন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বসেন, তাতে রাজ্য সরকারের প্রতি কেন্দ্রের আস্থায় এখনও যে চিড় ধরেনি তা স্পষ্টতই বোঝা যায়। এখন প্রধানমন্ত্রীকে ব্যাপারে সবিস্তারে জানাবার পর তিনি কী করেন সে দিকেই তাকিয়ে বিরোধীশিবির।
❤ Support Us