- দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩
যাদবপুর: মৃত্যুর আগে কতটা যন্ত্রণায় ছিলেন ছাত্র! বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টেই উঠে এল ভয়াবহ সেই তথ্য

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় নাড়া দিয়েছিল দেশের মানুষকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের রহস্যমৃত্যুতে উঠে আসে খুনের অভিযোগও। বাংলা বিভাগের নবাগত ছাত্রের পরিবার দাবি করে, “খুন হয়েছেন তাঁদের ছেলে।” কিন্তু ওই ছাত্রের মৃত্যুর আসল কারণ কী? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্তে উঠে এসেছে সেটা।
পুলিশি তদন্তে একাধিক সম্ভাবনা উঠে আসার পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কমিটির রিপোর্টেও উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির ওই রিপোর্টেই রয়েছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য!, এটাই সূত্র মারফত জানা গেছে।
জানা গিয়েছে, গত ৪ সেপ্টেম্বর ১৫তম বৈঠকের পর একটি রিপোর্ট পেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। যেখানে প্রায় শতাধিক বর্তমান ও প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে নানারকমের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে ওই কমিটি। এক হস্টেল সুপারকে সাসপেন্ড থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন হস্টেলের এক নিরাপত্তারক্ষী। সর্বত্র গাফিলতির কথা উঠে এসেছে ওই চাঞ্চল্যকর রিপোর্টে।
সূত্রের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ ওই তদন্ত কমিটি বলছে, নদিয়ার মৃত ছাত্রের সঙ্গে মেইন হস্টেলে একাধিক দিন ধরে চলেছিল মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন। দাবি, বেশ কয়েক জন মিলে ‘ভয়-সন্ত্রাসে’র পরিবেশ তৈরি করেছিল মেইন হস্টেলে। যার কোপ পড়েছিল নবাগত ওই ছাত্রের উপরেও। দাবি, ওই ছাত্রকে নগ্ন করে অশালীন কাজ করানোর অভিযোগও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। হস্টেলের কিছু সিনিয়রদের নেওয়া ‘ইন্ট্রো’ থেকে শুরু করে অশ্রাব্য গালিগালাজ দিতে বাধ্য করা, এমনকী ওই সিনিয়রদের কথা না শুনলে বেধড়ক মারধরের কথাও জানানো হয়েছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটির রিপোর্টেই ! ওই রাতে, নদিয়ার ছাত্রকে নগ্ন হতেও বাধ্য করা হয়েছিল বলে দাবি।
❤ Support Us