সন্দেশখালিতে বিজেপি সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ

সন্দেশখালিতে ঘর গোছাতে নেমে পড়েছে তৃণমূল। বিজেপি সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ । জনসভায় ভিড় দেখে তৃণমূল নেতাদের যেন ধড়ে প্রাণ এল। প্রবল তাপ প্রবাহ, মাথার ওপর চড়া রোদ উপেক্ষা করে আজ, শনিবার সন্দেশখালির রাজবাড়ি বাজারে তৃণমূলের জমায়েতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামে সমর্থনে  সন্দেশখালির রাজবাড়ি বাজারের কাছ সুরেন্দ্র এফ পি স্কুল মাঠে জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। অন্যদের মধ্যে ছিলেন  বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, ডাঃ সপ্তর্ষি ব্যানার্জি, কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ প্রমুখ। প্রার্থী হাজি নুরুল অসুস্থতার কারণে সন্দেশখালিতে আসতে পারেন নি। তবে তিনি বসিরহাট টাউন হলে বসিরহাট শহরের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে হাজির ছিলনে। সন্দেশখালিতে সুজিত বসু এদিন  বলেন, সন্দেশখালির মানুষের জীবন সংগ্রামকে আমরা শ্রদ্ধা করি। প্রকৃতি সঙ্গে নদী মাতৃক এই ব্লকের মানুষকে নিরন্তর লড়তে হয়। এতকিছুর পরেও প্রচন্ড রোদ উপেক্ষা করে আজকের জনসভায় এসেছেন তা দেখে বুঝতে পারছি তৃণমূলের প্রতি, মমতা ব্যানার্জি ও অভিষেক ব্যানার্জির ওপর সন্দেশখালির মানুষ এতটুকু আস্থা হারান নি।’‌ সুজিত বলেন, ‘‌ভারতবর্ষের প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যা পারেন নি একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বাংলার নেত্রী মমতা ব্যানার্জি তা করেছেন। বাংলার মায়েদের আত্মনির্ভর করেছেন। লক্ষ্মী ভান্ডার প্রকল্পে সুবিধা বাংলা ঘরে ঘরে। স্বাস্থ্য সাথীর প্রকল্পে আওতায় বাংলার মানুষ নিখরচায় চিকিৎসা পাচ্ছেন।’‌ তিনি বলেন, ‘‌আজ সন্দেশখালির এই জনসভা দেখেই বোঝা যাচ্ছে হাজি নুরুলের জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমরা কথা দিচ্ছি সন্দেশখালির মানুষের পাশে মমতা ব্যানার্জি সৈনিক হিসেবে হাজি নুরুল  থাকবে। সন্দেশখালির উন্নয়ন থেমে থাকবে না।’‌ সুজিত বসুর দলের স্থানীয় নেতা, ‘‌কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি, সিবিআই, এনআইএ যতই আসুক আপনারা নিজেদের শক্ত রাখুন। আমাদের দলের কর্মী সমর্থকদের মনোবল ভাঙতে বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে ব্যবহার করছে।’‌ এদিন সুজিত বসুর হাত ধরে ৫০ জনের বেশি বিজেপি, সিপিএম কর্মী তৃণমূলের যোগ দেন।

বিধায়ক সুকুমার মাহাতো বলেন, ‘‌সন্দেশখালির পাত্রপাড়ায় যাদের ভুল বুঝিয়ে তৃণমূলের বিরোধীতায় নামিয়ে ছিল তারাই আজ সভায় এসে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিলেন।’‌ সন্দেশখালিতে জনসভার আগে বসিরহাট টাউন হলে সুজিত বসু বসিরহাট শহর তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন। ‌সুজিত বসু আরও বলেন, সন্দেশখালির মানুষ তৃণমূলের বিরুদ্ধে না, দিদির বিরুদ্ধে না। আমাদের এখানকার কিছু নেতার বিরুদ্ধে কিছু অভাব অভিযোগ ছিল সে সব মিটে গেছে। এখন আবার মানুষ আমাদের সঙ্গে আসছেন। সুজিত বলেন, কিছু মানুষের জমি দখল হয়েছিল। সেই সমস্যা দেখার জন্য আমাদের পাঠানো হয়েছিল। আমরা দেখে রিপোর্ট দিয়েছি, প্রশাসন রিপোর্ট নিয়েছে। জমি টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‌জমি দখলের কথা যেমন বলা হচ্ছে, জমি ফেরতে কথাটাও বলুন।’‌