Advertisement
  • এই মুহূর্তে
  • জুন ৪, ২০২২

মাছ-মাংস–ফলের দাম আকাশছোঁয়া, জামাইষষ্ঠীর আগে অগ্নিমূল্য বাজার

জামাইয়ের পাতে চর্ব্য, চোষ্য, লেহ্য, পেয় যোগান দিতে নাভিশ্বাস শ্বশুরমশাইদের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মাছ-মাংস–ফলের দাম আকাশছোঁয়া, জামাইষষ্ঠীর আগে অগ্নিমূল্য বাজার

রবিবার জামাইষষ্ঠী । পার্বণের এই দিনটিকে মূলত রসনাতৃপ্তির দিন হিসেবেই ধরা হয়। কিন্তু বাজারে গিয়ে মাথায় হাত সাধারণ মানুষের। চড়া দাম সমস্ত জিনিসের। মাছ, মাংস থেকে, ফল, মিষ্টি, সবকিছুরই দাম আকাশছোঁয়া ।

কলকাতার গড়িয়াহাট বাজারে (২ কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকায়। ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে বাগদা চিংড়ির দাম। গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে। আবার ছোট ভেটকি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা দরে। বড় ভেটকি ৬০০ টাকা দরে।

মাছের বাজারের মতো একই ভাবে ফলের বাজারও আগুন। সকালের ফলাহার থেকে মধ্যাহ্ণভোজের পর তৃপ্তি ভরে আম, রাতে আম-দুধ-রুটি খাওয়ার উপায় আর নেই। কারণ হিমসাগর আম ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ল্যাংড়া, গোলাপখাস বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। লিচু কিনতে গুনে গুনে খরচ করতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। গোটা কাঁঠালের দাম পড়ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা।
মাংসের দোকানেও ভিড়ের দেখা কম । কাটা মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। সবজির দাম হু হু করে না বাড়লেও, জামাইয়ের পাত সাজাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কার্যতই পকেটে টান পড়ছে আম জনতার। তাই ভূরিভোজ তো দূর, সংসারের বাজার করাই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নামমাত্র বাজার করেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অধিকাংশ মানুষকে। আবার বাজার ঘুরে দরদাম করেই কাটিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। সাধ্য রয়েছে যাঁদের, কষ্ট করে হলেও জামাইকে খাওয়ানোর জিনিসপত্র কিনে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।

বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আবহাওয়ার কারণে সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে পারছে না বহু ট্রলার । তাই জোগান কমেছে। আর সামুদ্রিক মাছের দাম বেড়েছে৷ চাপ পড়েছে স্থানীয় মাছের উপরে। ঝড় বৃষ্টিতে ফলের ক্ষতি হয়েছে। তাই দাম বেড়েছে। তাছাড়া পেট্রল–ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তার প্রভাব পড়েছে বাজারে।


❤ Support Us
error: Content is protected !!