- দে । শ
- মে ১৯, ২০২৩
রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন নিয়ে উদ্বেগ, বাংলাদেশ মায়নমারের সমালোচনায় হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মায়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য বাংলাদেশের পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করলো হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এই সংস্থাটি জানিয়েছে এই পদক্ষেপের ফলে রোহিঙ্গাদের জীবন ও স্বাধীনতা গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। বাংলাদেশে প্রায় এক মিলিয়ন রোহিঙ্গার আবাসস্থল, যাদের অধিকাংশই মায়ানমারে ২০১৭ সালের সামরিক দমন অভিযান থেকে পালিয়েছিল। বিষয়টি এখন জাতিসংঘের তদন্তের বিষয়। দুই দেশ আগামী সপ্তাহে একটি পাইলট প্রকল্পে প্রায় ১১০০ জনকে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও জাতিসংঘ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছে, পরিস্থিতি এখনো অনুকূল নয়।হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের উদ্দেশে বলেছে -”কেন রোহিঙ্গারা শরণার্থী হয়ে উঠল তা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের ভুলে যাওয়া উচিত নয় এবং মনে রাখা উচিত পরিস্থিতির এখনো পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের উপর শরণার্থীদের বিপুল পরিমাণ বোঝা চেপে রয়েছে। কিন্তু প্রতিকার হিসেবে শরণার্থীদের মায়ানমারে জান্তার নির্মম শাসনব্যবস্থায় ফেরত পাঠানো আরো ধ্বংস ডেকে আনবে।”
মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যে এখনও প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে জীবন কাটাচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মোখার দাপট তাঁদের জীবনকে দুর্বিসহ করে তুলেছে।সে দেশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সংখ্যা অনুযায়ী, রবিবার মায়ানমারের মধ্য দিয়ে ঝড়টি বয়ে যাবার পর কমপক্ষে ৮১ জন নিহত হয়।
এই মাসে ২০ জন রোহিঙ্গা রাখাইনে দুটি পুনর্বাসন শিবির পরিদর্শন করেছে যেখানে মায়ানমারের জুন্টা তাদের থাকার পরিকল্পনা করছে। “ঘূর্ণিঝড়ের পর রাখাইনের পুনর্বাসন শিবির নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, কারণ অনেক শিবির ঝড়ের দাপটে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ৩৮ বছর বয়সী হাফিজ সোলায়মান এমনটাই জানাচ্ছেন।” তিনি বলোন, আমরা মায়ানমারের এই পদক্ষেপ মেনে নিতে প্রস্তুত নই। তারা আমাদের জন্য যে ব্যবস্থা করেছে তা আমাদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়। এর আগেও আমাদের ওপর যে নিপীড়ন চালানো হয়েছে তার জন্য আমরা কোনো বিচার পাইনি। আমরা মিয়ানমার সরকারকে এক শতাংশও বিশ্বাস করি না।” দ্বিতীয় আরেকজন যিনি নিজেকে উল্লাহ বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি বলছেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মোখা থেকে তার আত্মীয়দের বাঁচানোর কোনো চেষ্টা করেনি। ফলে তাদের সবকিছুই ঘূর্ণিঝড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও
বাংলাদেশের শরণার্থী কমিশনার মিজানুর রহমান রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাধ্য করা বা তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করার কোনো দাবির মান্যতা দেয়নি। রহমান সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “প্রত্যাবাসনে যাঁরা রাজি তাদেরই স্বেচ্ছায় পাঠানো হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি অসত্য।”
এই মাসে ২০ জন রোহিঙ্গা রাখাইনে দুটি পুনর্বাসন শিবির পরিদর্শন করেছে যেখানে মায়ানমারের জান্তা তাদের থাকার পরিকল্পনা করছে। সফরের অংশ ছিল এমন বেশ কয়েকজনের সাথে সংবাদ সংস্থা কথা বলেছে এবং তারা ঘূর্ণিঝড়ের পর রাখাইনের পুনর্বাসিত। কারণ অনেক শিবির ঝড়ের দাপটে বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ৩৮ বছর বয়সী হাফিজ সোলায়মান জানাচ্ছেন -” আমরা মায়ানমারের এই পদক্ষেপ মেনে নিতে প্রস্তুত নই। তারা আমাদের জন্য যে ব্যবস্থা করেছে তা আমাদের নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট নয়। এর আগেও আমাদের ওপর যে নিপীড়ন চালানো হয়েছে তার জন্য আমরা কোনো বিচার পাইনি। আমরা মায়ানমার সরকারকে এক শতাংশও বিশ্বাস করি না।” দ্বিতীয় আরেকজন যিনি নিজেকে উল্লাহ বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি বলছেন, মায়ানমারের সেনাবাহিনী মোখা থেকে তার অতিথিদের বাঁচানোর কোনও চেষ্টা করেনি। ফলে তাদের সবকিছুই ঘূর্ণিঝড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। যদিও বাংলাদেশের শরণার্থী কমিশনার মিজানুর রহমান রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাধ্য করা বা তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করার কোনও দাবির মান্যতা দেননি। রহমান সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, “প্রত্যাবাসনে যাঁরা রাজি তাদেরই স্বেচ্ছায় পাঠানো হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দাবি অসত্য।”
❤ Support Us