- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- অক্টোবর ৩০, ২০২৩
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে কার্যত সেমিফাইনালে, বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সফল দল ভারত
বিশ্বকাপে পাকিস্তানসহ অন্য দলগুলির বিরুদ্ধে নিরঙ্কুশ সাফল্যা থাকলেও নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড বরাবরই ভারতের কাছে শক্ত গাঁট। ২০০৩ বিশ্বকাপে শেষবার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতেছিল ভারত। দীর্ঘ ২০ বছর পর এবছর আবার জয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেও একই অবস্থা। ২০ বছর পর বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে আবার জয় পেল ভারত। রবিবার লখনউয়ের একনা স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডকে হারাল ১০০ রানে। আর এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বকাপের ইতিহাসে দ্বিতীয় সফল দল হয়ে উঠেছে ভারত।
একদিনের বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবথেকে সফল দল হল অস্ট্রেলিয়া। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া একদিনের বিশ্বকাপে ৭৩ ম্যাচ জিতে শীর্ষে রয়েছে। যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। রবিবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে এককভাবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। বিশ্বকাপে ভারতের মোট জয়ের সংক্যা ৫৯। আর নিউজিল্যান্ডের ৫৮। অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ডের পরে রয়েছে ইংল্যান্ড। তারা মোট ৫০টি ম্যাচ জিতেছে। পাকিস্তান জিতেছে ৪৭টি এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৩টি করে ম্যাচ জিতেছে। শতাংশের বিচারেও ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। ভারতের ম্যাচ জেতার হার ৬৫.৫৬ শতাংশ। শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। তাদের হার ৭৩ শতাংশ। আর ৬১.৪৩ শতাংশ ম্যাচ জিতে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রবিবার লখনউ–র একনা স্টেডিয়ামে কঠিন ব্যাটিং উইকেটে টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ইংল্যান্ড। পাওয়ার প্লে–র প্রথম ১০ ওভারে ভারত তোলে ৩৫/২। শুরুতেই ফিরে যান শুভমান গিল (৯) ও বিরাট কোহলি (০)। ৪০ রানের মাথায় আউট হন শ্রেয়স আয়ার (৪)। এরপর লোকেশ রাহুল ও রোহিত শর্মা দলকে টানেন। লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ৯১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন রোহিত। রাহুল তিনটি চারের সাহায্যে ৫৮ বলে ৩৯ রান করেন। রোহিত শর্মা ১০টি চার ও তিনটি ছয়ের সাহায্যে ১০১ বলে ৮৭ রান করেন। চারটি চার ও একটি ছয়ের সৌজন্যে ৪৭ বলে ৪৯ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। যশপ্রীত বুমরা ২৫ বলে ১৬ রান করে রান আউট হন। রবীন্দ্র জাদেজা ৮, মহম্মদ শামি ১ রান করেন। কুলদীপ যাদব ৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৫০ ওভারে ভারত তোলে ২২৯/৯। ডেভিড উইলি ৪৫ রানে ৩টি, ক্রিস ওকস ৩৩ রানে ২টি, আদিল রশিদ ৩৫ রানে ২টি উইকেট পান।
ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি ইংল্যান্ড ব্যাটাররা। শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়। ইংল্যান্ডকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন যশপ্রীত বুমরা। পরপর ২ বলে তুলে নেন ডেভিড মালান (১৭ বলে ১৬) ও জো রুটকে (১ বলে ০)। এরপর ইংল্যান্ডকে ভাঙেন মহম্মদ সামি। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ড। পরপর ফিরে যান বেন স্টোকস (১০ বলে ০), জস বাটলার (২৩ বলে ১০), মঈন আলি (৩১ বলে ১৫), লিয়াম লিভিংস্টোন (৪৬ বলে ২৭), ক্রিস ওকস (২০ বলে ১০), আদিল রশিদ (২০ বলে ১৩)। শেষপর্যন্ত ৩৪.৫ ওভারে ১২৯ রানেই ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায়। ৭ ওভারে ২২ রানে ৪ উইকেট তুলে নেন মহম্মদ সামি। ৩২ রানে ৩ উইকেট নেন বুমরা। ২৪ রানে ২ উইকেট নেন বুমরা। টানা ৬ ম্যাচ জিতে কার্যত সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল ভারত।
❤ Support Us