- প্রচ্ছদ রচনা মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- অক্টোবর ১৪, ২০২৩
এগিয়ে থেকে মাঠে নামছে ভারত, পাকিস্তান জিতলে হবে অঘটন

আজ বিশ্বকাপের মহারণ। বহু প্রতীক্ষিত ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত ও পাকিস্তান। দুই দলই প্রথম দুটি ম্যাচে জিতে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে মাঠে নামছে। তবে পরিসংখ্যান ও ধারেভারে এগিয়ে থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ভারত।
একদিনের বিশ্বকাপে সেই ১৯৯২ সাল থেকে দুই দেশ একে অপরের মোকাবিলা করছে। মোট ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দেশ। ৭ বারই জিতেছে ভারত। রোহিত শর্মারা যেমন জয়ের রেকর্ড ধরে রাখতে মরিয়া, তেমনই পাকিস্তানের লক্ষ্য ইতিহাস বদলে দেওয়ার। তবে ভারতের তুলনায় পাকিস্তানের কাজটা কঠিন। কারণ, শক্তির বিচারে বাবর আজমদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ভারত।
ভারতীয় দলে রয়েছে একাধিক ম্যাচ উইনার। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরা, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, হার্দিক পান্ডিয়ারা যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। সেই জায়গায় পাকিস্তানের ম্যাচ উইনার মাত্র ২ জন। বাবর আজম ও শাহিন আফ্রিদি। দুজনই আবার ছন্দে নেই। প্রথম দুটি ম্যাচে চূড়ান্ত ব্যর্থ। মহম্মদ রিজওয়ান অবশ্য প্রথম দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। ভারতের বিরুদ্ধে নিজেকে কতটা মেলে ধরতে পারেন, সেটাই দেখার। তবে বাবর আজম ও শাহিন আফ্রিদির ফর্মে ফেরার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।
ব্যাটিং–বোলিং দুই বিভাগেই ভারত এগিয়ে থেকে মাঠে নামবে। রোহিত শর্মা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে রানে ফিরেছেন। কোহলিও ছন্দে রয়েছেন। লোকেশ রাহুলও রানের মধ্যে রয়েছেন। এদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন শুভমান গিল। ফলে ব্যাটিং শক্তি আরও বাড়িয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে ভারত। আর পাকিস্তানের মূল সমস্যা ওপেনিং। দুটি ম্যাচে দলকে নির্ভরতা দিতে পারেননি ইমাম–উল–হক। দ্বিতীয় ম্যাচে আবদুল্লাহ শফিক অবশ্য কিছুটা ভরসা দিয়েছেন। বাবর আজম দুটি ম্যাচেই রান পাননি। ভারতের বিরুদ্ধে অধিনায়কের জ্বলে ওঠার অপেক্ষায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
বোলিংয়েও পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে ভারত। পাকিস্তানের জোরে বোলিং মূলত শাহিন আফ্রিদি নির্ভর। তিনি ফর্মে নেই। আগের দুটি ম্যাচে হ্যারিস রউফকে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি। তবে হাসান আলি নজর কেড়েছেন। দুই স্পিনার শাদাব খান ও মহম্মদ নওয়াজ একেবারে সাধারণ মানের। অন্যদিকে, যশপ্রীত বুমরা ভারতের মূল ভরসা। যে কোনও সময় আঘাত হানতে পারেন। মহম্মদ সিরাজও পাওয়ার প্লে–তে ধাক্কা দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত। মাঝের ওভারগুলিতে উইকেট তুলে নিতে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া রয়েছেন কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজার মতো স্পিনার।
আর ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে সবথেকে বড় ব্যাপার হল চাপ নেওয়ার ক্ষমতা। এই বিষয়েও ভারত এগিয়ে। চাপের মুখে ভেঙে পড়ার ব্যাপারে পাকিস্তানের সুনাম আছে। অতীতে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে বহুবার দেখা গেছে। ভারতীয় দলে অবশ্য চাপ সামলানোর মতো একাধিক ক্রিকেটার আছে। তাছাড়া আমেদাবাদে দর্শক সমর্থনও থাকবে ভারতের দিকে। এরপরেও কি ভারতকে পিছিয়ে রাখা যায়? পাকিস্তান যদি জেতে, সত্যিই অঘটন হবে।
❤ Support Us