- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- অক্টোবর ৩১, ২০২৩
বাংলাদেশকে উড়িয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান
সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে গেলে বাকি তিন ম্যাচে জিততেই হবে। পাশাপাশি তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলগুলির দিকে। মরণবাঁচন ম্যাচে জ্বলে উঠল পাকিস্তান। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে সেমিফাইনালের অলীক স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলেন বাবর আজমরা। বোলিং–ব্যাটিং, দুই বিভাগেই এদিন সফল পাকিস্তান। বল হাতে জ্বলে উঠলেন শাহিন আফ্রিদি, মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়ররা। ব্যাট হাতে দাপট আবদুল্লা শফিক, ফখর জামানদের।
ইডেনের মন্থর উইকেটে পরে ব্যাট করার ঝুঁকি নিতে চাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাই প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে ধাক্কা দেন শাহিন আফ্রিদি। পঞ্চম বলে তুলে নেন তানজিদ হাসানকে (০)। তৃতীয় ওভারে আবার ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। নাজমুল হাসান শান্তকেও (৪) ফেরান শাহিন আফ্রিদি। ব্যাটিং অর্ডারে এদিন কিছুটা রদবদল করেছিল বাংলাদেশ। চার নম্বরে তুলে আনা হয়েছিল মুশফিকুর রহিমকে। দলকে নির্বরতা দিতে পারেননি মুশফিকুর (৫)। ষষ্ঠ ওভারে তাঁকে ফেরান হ্যারিস রউফ।
শুরুতেই ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। লিটন দাস ও মাহমুদুল্লা জুটি চাপের মুখ থেকে দলকে টেনে তোলেন। দুজনের জুটিতে ওঠে ৭৯ রান। এই জুটির হাত ধরে বড় রানের স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। লিটন দাসকে (৬৪ বলে ৪৫) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন ইফতিখার আমেদ। দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে মাহমুদুল্লার স্টাম্প ছিটকে দেন শাহিন আফ্রিদি। ৭০ বলে ৫৬ রান করে আউট হন মাহমুদুল্লা।
মাহমুদুল্লা আউট হওয়ার পর বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন সাকিব আল হাসান। হ্যারিস রউফের বলে তিনি আগা সালমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৬৪ বলে তিনি করেন ৪৩। সাকিব আউট হওয়ার আগেই ফিরে যান তৌহিদ হৃদয় (৭)। বাংলাদেশকে ২০০ রানের গন্ডি পার করে দেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৩০ বলে তিনি করেন ২৫। শেষ পর্যন্ত ২৫.১ ওভারে ২০৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। দুরন্ত বোলিং করে ২৩ রানে ৩ উইকেট তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি। শেষদিকে জ্বলে ওঠেন মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। ৩১ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। ৩৬ রানে ২ উইকেট হ্যারিস রউফের।
জয়ের জন্য ২০৪ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন ছিল না পাকিস্তানের কাছে। সতর্কভাবে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার ফখর জামান ও আব্দুল্লাহ শফিক। সতর্কতার মোড়ক সরিয়ে রেখে পরে বাংলাদেশ বোলারদের ওপর দাপট। ওপেনিং জুটিতে ১২৮ রান তোলেন শফিক ও ফখর জামান। বিশ্বকাপে এই প্রথম ১০০ রানের ওপেনিং জুটি। আবদুল্লা শফিককে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৬৯ বলে ৬৮ রান করে আউট হন শফিক। বাবর আজম আবার ব্যর্থ। ১৬ বলে ৯ রান করে তিনি মিরাজের বলেই আউট হন।
বাবর ফিরে যাওয়ার পর দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ফখর জামান। মিরাজকে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তিনি ওয়াইড মিড উইকেটে তৌহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন। ৭৪ বলে ৮১ রান করে আউট হন ফখর জামান। এরপর পাকিস্তানকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মহম্মদ রিজওয়ান (১৯ বলে অপরাজিত ২৫) ও ইফতিখার আমেদ (১৫ বলে অপরাজিত ১৭)। ৩২.৩ ওভারে ২০৪/৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি উইকেটই তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ
❤ Support Us