Advertisement
  • এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • অক্টোবর ২৮, ২০২৩

১ উইকেটে নাটকীয় জয় দক্ষিণ আফ্রিকার, পাকিস্তানের সেমিফাইনালের আশা কার্যত শেষ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
১ উইকেটে নাটকীয় জয় দক্ষিণ আফ্রিকার, পাকিস্তানের সেমিফাইনালের আশা কার্যত শেষ

চাপের মুখে জ্বলে ওঠার ইতিহাস রয়েছে পাকিস্তানের। ১৯৯২ বিশ্বকাপে চূড়ান্ত খারাপ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু সেই পাকিস্তান দলের সঙ্গে এই দলের আকাশপাতাল তফাৎ। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চাপের মুখে জ্বলে উঠেও জয় ছিনিয়ে নিতে ব্যর্থ বাবর আজমরা। মরণবাঁচন ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১ উইকেটে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্ন কার্যত শেষ পাকিস্তানের। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা। দলকে ম্যাচে ফিরিয়েও জয় এনে দিতে পারেননি শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফরা।
প্রথম দুটি ম্যাচে জয়ের পর টানা তিন ম্যাচ হেরে কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল পাকিস্তান। বাবর আজমরা স্বপ্ন দেখেছিলেন চেন্নাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোটা রীতিমতো রীতিমতো চ্যালেঞ্জের ছিল পাকিস্তানের কাছে। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে পারেননি বাবর আজমরা। ব্যাটিং–বোলিং দুই বিভাগই ব্যর্থ। ফলস্বরূপ হেরে বিশ্বকাপ থেকে কার্যত বিদায়।
চেন্নাইয়ে এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তান। শুরুটা ভাল হয়নি। পঞ্চম ওভারেই মার্কো জানসেনের বলে আউট আব্দুল্লাহ শফিক (‌৯)‌। পাকিস্তানের রান তখন ২০। ইমাম–উল–হকও (‌১২)‌ ব্যর্থ। ৩৮ রানে ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। প্রাথমিক চাপ কাটিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। ২৭ বলে ৩১ রান করে আউট হন রিজওয়ান। ২১ রান করেন ইফতিখার। চাপের মুখে দলকে ভালই টানছিলেন বাবর আজম। কিন্তু তিনি ৫০ রান করে আউট হন।
বাবর আজম আউট হওয়ার পর শাদাব খান ও সৌদ শাকিল দলক বড় রানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। ৩ ওভারের ব্যবধানে শাদাব (‌৩৬ বলে ৪৩)‌ ও শাকিল (‌৫২ বলে ৫২)‌ আউট হতেই বড় রানের স্বপ্ন শেষ পাকিস্তানের। মহম্মদ নওয়াজের (‌২৪ বলে ২৪)‌ সৌজন্যে শেষ পর্যন্ত ৪৬.‌৪ ওভারে ২৭০ রানে পৌঁছতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তাবরেজ সামসি ৬০ রানে ৪টি এবং মার্কো জানসেন ৪৩ রানে ৩টি উইকেট নেন।

ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২৭০ রানের পুঁজি নিয়ে জিততে গেলে বোলারদের দক্ষতার শীর্ষে উঠতে হত। কুইন্টন ডিকককে (‌১৪ বলে ২৪)‌ তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথম ধাক্কা দিয়েছিলেন শাহিন আফ্রিদি। এরপর তেম্বা বাভুমাকে (‌২৭ বলে ২৮)‌ ফেরান প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামা মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। এরপর দলকে টানছিলেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ও এইডেন মার্করাম। ডুসেনকে (‌২১)‌ তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন উসামা মির। শাদাব খান চোট পেয়ে মাঠ ছাড়ায় কনকাশন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম কনকাশন পরিবর্ত। নিজের প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন উসামা মির। ক্লাসেনকে (‌১২)‌ ফেরান মহম্মদ ওয়াসিম।
১৩৬ রানে ৪ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান এইডেন মার্করাম ও ডেভিড মিলার। মিলারকে (‌২৯)‌ ফেরান শাহিন আফ্রিদি। জানসেনকে (‌২০)‌ তুলে নেন হ্যারিস রউফ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন এইডেন মার্করাম। শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ৯১ রান করে তিনি আউট হন। তাঁকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে দেন উসামা মির।

ম্যাচের শেষদিকে নাটক জমে ওঠে। মার্করাম ফিরে যাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য ২১ রান দরকার ছিল। হাতে ৩ উইকেট। কোয়েৎজিকে (‌১০)‌ তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি। এরপর উইকেট আঁকড়ে পড়ে থাকেন কেশব মহারাজ ও লুঙ্গি এনগিডি। এনগিডিকে (‌১৪ বলে ৪)‌ আউট করে ম্যাচ জমিয়ে দেন হ্যারিস রউফ। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ৯ উইকেটে ২৬০। এরপর আর শেষরক্ষা হয়নি। কেশব মহারাজ (‌২১ বলে অপরাজিত ৭)‌ ও তাবরেজ শামসি (‌৬ বলে অপরাজিত ৪)‌ দক্ষিণ আফ্রিকাকে নাটকীয় জয় এনে দেন। ৪৭.‌২ ওভারে ২৭১/‌৯ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে শাহিন আফ্রিদি ৪৫ রানে ৩ উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন হ্যারিস রউফ, মহম্মদ ওয়াসিম ও উসামা মির।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!