- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২০, ২০২৪
কোভিড টীকা বিতর্কে এবার বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়কে নোটিশ পাঠালো আইসিএমআর

কোভিশিল্ডের পর এবার বিতর্ক বাঁধল কোভ্যাক্সিন নিয়েও।করোনা অতিমারির আমলে এই দুই ভ্যাক্সিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ভারত সরকার নাগরিকদের আবেদন জানিয়েছিলেন। ভোটের বাজারে কোভিশিল্ড নিয়ে বিতর্ক কিছুটা থিতিয়ে আসা মাত্রই এবার আঙুল উঠল কোভ্যাক্সিন টিকার দিকে। বলা হয়েছিল, কোভিশিল্ড টিকার দীর্ঘমেয়াদী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে থ্রম্বোসিস রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলেও, কোভ্যাক্সিন একেবারেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন নিরীহ একটি টিকা। কিন্ত বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের দাবি, আদতে কোভ্যাক্সিন মোটেও নিরীহ টিকা নয়। তার যথেষ্ট পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।
বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের রিপোর্ট বলছে, ভারত বায়োটেকের তৈরি এই কোভ্যাক্সিন নিয়েছেন এমন ৯২৬জনের ওপর এক বছর ধরে পর্যবেক্ষণ চালানো হচ্ছিল। তাদের দাবি এদের মধ্যে ৩০শতাংশের দেহে শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ, স্ট্রোক,গিলান-বারি-সিনড্রোম, রক্ত জমাট বাঁধা প্রভৃতি উপসর্গ দেখা গিয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলে ‘অ্যাডভার্স ইভেন্ট অব স্পেশাল ইন্টারেস্ট’ অর্থাৎ ‘এইএসআই। এছাড়াও মহিলাদের মধ্যে ঋতুস্রাবজনিত সমস্যাও দেখা দিয়েছে।
দাবিকে নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ-এর তরফে। তারা জানিয়েছে বিএইচইউ-এর এই ‘ কোভ্যাক্সিন তৈরির পদ্ধতিগত খামতি’র অভিযোগ সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর। আইসিএমআর এই রিপোর্ট সমর্থন করে না।তাঁরা এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকে দুরত্ব বাড়িয়েছেন এবং এই মর্মে বিএইচইউ কে একটি নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। তাদের দাবি গবেষণাপত্র থেকে অবিলম্বে মুছে ফেলতে হবে নাম, ক্ষমা প্রার্থণা করতে হবে প্রকাশ্যে।
কিছুদিন আগে কোভিশিল্ড নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি করেছিল কোভিশিল্ড টিকা। কোভিশিল্ডের প্রভাবে প্লেটলেট সংখ্যা কমে যাওয়ার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেখানে ব্রিটিশ সুইশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা আদালতে স্বীকার করেছিলেন কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার অভিযোগও। সেই নিয়ে বিতর্ক এখনও অব্যাহত রয়েছে।
❤ Support Us