- দে । শ
- মে ৯, ২০২৪
আইসিএমআর এর সতর্কবার্তা, ৫৬শতাংশ রোগের মূলে বিপজ্জনক খাদ্যাভ্যাস

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিকাল এন্ড রিসার্চ (আইসিএমআর) ভারতবাসীকে সাবধান করেছে তাদের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের জন্য। এই নিয়ে বুধবার তারা একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সেখানে এই দেশের খাদ্যাভ্যাসের বিবরণ দেওয়ার পাশাপাশি কীভাবে দেশবাসী সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন সেই বিষয়ে আলোকপাত করেছে তারা।
ইদানীং অরগ্যানিক খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে এই দেশে। সামান্য স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ এখন অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন ফাস্ট ফুড। তবুও ওই সংস্থা দাবি করেছে ৫৬ শতাংশ রোগের পিছনে দায়ি খাদ্যাভ্যাসের বদভ্যাস। বুধবার আইসিএমআর এবং ন্যাশনাল ইন্সটিটিউশন তাদের এক্স হ্যান্ডেলে যৌথভাবে একটি রিপোর্ট পেশ করে ১৭ টি খাদ্যতালিকা উল্লেখ করে তাদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। এই সমগ্র গাইডলাইনের লক্ষ্য বস্তু ছিল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, স্থূলতা প্রতিরোধ, এবং অন্যান্য অসংক্রামক রোগ (NCDs)।
ICMR unveils Dietary Guidelines for Indians (DGI) to promote healthy diets and lifestyles, warding off nutrient deficiencies and non-communicable diseases. Read more at: https://t.co/K1w2700tJi pic.twitter.com/SHcdIRhozf
— ICMR (@ICMRDELHI) May 8, 2024
গাইডলাইন অনুযায়ী , প্রতিদিনের ২০০০কিলো ক্যালরি খাদ্য গ্রহণের মধ্যে একজন ব্যক্তির উচিত অন্তত ২৫০ গ্রাম শস্য জাতীয় খাদ্য, ৪০০ গ্রাম সবজি, ১০০গ্রাম ফল, ৮৫ গ্রাম ডাল অথবা ডিম অথবা মাংস জাতীয় খাদ্য , ৩৫গ্রাম বাদাম জাতীয় খাদ্য ও ২৭গ্রাম তেল বা চর্বি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা। নির্দেশিকায় আছে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট -এর উল্লেখ। ন্যূনতম আটটি গ্রুপের খাবার থেকে ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট এবং মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট গ্রহণ করার পরামর্শ দেয়।
নির্দেশনা অনুযায়ী মোট এনার্জির মাত্র ৪৫ শতাংশ শস্য জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত। কিন্তু বর্তমানে তা ঘোরাফেরা করছে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে। ডাল এবং মাংস জাতীয় খাদ্যের দাম বেশি, তাই প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ তাদের শরীরে প্রবেশ করেনা। এমন কোন একটি পরিপূর্ণ খাবার নেই যা শরীরের সব প্রয়োজনীয় পুষ্টির জোগান দেয়।
নিরামিষাশীদের, তাঁরা বলেছেন, এন-3 PUFA-সমৃদ্ধ খাবার যেমন শণের বীজ, কিয়া বীজ ইত্যাদি খাওয়ার জন্য। কারণ তাদের জন্য পর্যাপ্ত B12 এবং n-3 পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া একটি চ্যালেঞ্জ। চিনি মোট শক্তি গ্রহণের ৫ শতাংশের কম হওয়া উচিত। আইসিএমআর শরীরের ভর তৈরির জন্য প্রোটিন পরিপূরক এড়ানোর কথাও বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে যে দীর্ঘ সময় ধরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন পাউডার গ্রহণ বা উচ্চ প্রোটিন ঘনত্বের ব্যবহার হাড়ের খনিজ ক্ষয় এবং কিডনির ক্ষতির মতো সম্ভাব্য বিপদের সম্ভাবনা থাকে।
❤ Support Us