- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- এপ্রিল ২২, ২০২৪
সায়নীর আগামী লক্ষ্য নর্থ চ্যানেল। আইএফএ-র সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস স্বপন দেবনাথের

নিউজিল্যান্ডের কুক স্ট্রেট চ্যানেল জেতা কালনার বারুইপাড়ার সাঁতারু সায়নী দাসকে সংবর্ধনা দিল ইন্ডিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। আইএফএ অনুমোদিত কালনার এসকেএম স্পোর্টস ফাউন্ডেশন আয়োজিত ফুটবল কোচেদের প্রশিক্ষণ শিবির শেষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, আইএফএ-র সহ-সভাপতি সৌরভ পাল, প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার তরুণ দে, এসকেএম স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সুশীল মিশ্র প্রমুখ। আগস্ট মাসে সায়নী নর্থ চ্যানেল পার হওয়ার লক্ষ্যে নামবে। সেই লক্ষ্য পূরণে আর্থিকভাবে সহায়তার আশ্বাস দেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। সংবর্ধনা পেয়ে আপ্লুত সায়নীও জানায়, ‘সবাই পাশে থাকলে আমি খুব দ্রুত সপ্তসিন্ধু পার হওয়ার লক্ষ্য পূরণ করব।’
উল্লেখ্য যে, সায়নীর ইংলিশ চ্যানেলে নামার খরচ জোগাতে নিজের মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুকেই বন্ধক দিতে হয়েছিল সায়নীর বাবা পেশায় শিক্ষক রাধেশ্যাম দাসকে। সেই মেয়ে সায়নী দাস এক এক করে পাঁচখানা আন্তর্জাতিক চ্যানেল পেরল। সায়নীর পাখির চোখ সপ্তসিন্ধু জয়। তার অঙ্গ হিসেবে চতুর্থ ‘সিন্ধু’ নিউজিল্যান্ডের কুক স্ট্রেইট চ্যানেল সবে জয় করেছেন কালনার জলপরি সায়নী। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বললেন, ‘নানারকম প্রতিকূলতা জয় করে কালনার সায়নী আজ শুধু দেশের নয়, এশিয়া মহাদেশের গর্ব। সায়নীর সপ্তসিন্ধু পেরনো স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। সায়নীকে দেখে সাঁতারের প্রতি আগ্রহ বাড়ুক, এটাই চাই।’ সায়নী বলছিলেন, ‘এই চ্যানেলগুলির জল প্রচন্ড ঠাণ্ডা। সেই জলে সাঁতার কাটাটাই একটি চ্যালেঞ্জ। এছাড়া এখানকার পরিবেশের সঙ্গে অন্য দেশের পরিবেশে গিয়ে সাঁতার কাটা খুবই শ্রমসাধ্য।’
৫টি চ্যানেল পেরনো হল সায়নীর। ইংলিশ চ্যানেল, ক্যাটলিনা, মলোকাই, রটনেস্ট আর কুক। তবে রটনেস্ট সপ্তসিন্ধুর অন্তর্ভুক্ত নয়। সায়নীর পরবর্তী লক্ষ্য আয়ারল্যান্ডের নর্থ চ্যানেল। এই চ্যানেলটি জয় করলে এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে ৫টি চ্যানেল জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করবেন সায়নী। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগস্ট মাসে সেই চ্যানেলে নামবেন তিনি। তার আগে সেখানে যদি ৩ মাস সেই হিম জলে প্র্যাকটিস করা যেত, অনেকটাই সুবিধা হত বলে জানিয়েছেন ‘খেলাশ্রী’ সম্মানে ভূষিত সায়নী। সেই সূত্রেই উঠে এল স্পনসরের প্রসঙ্গ। কারণ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চ্যানেলগুলোতে নামতে গেলে খরচ হয় প্রচুর। ব্যক্তিগত বা সরকারি স্পনসর পেলে সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে কিছুদিন আগে গিয়ে ঘাঁটি গাড়া যায়। সায়নীর বাবা তথা কোচ রাধেশ্যাম দাস বলছিলেন, ক্রিকেট ও ফুটবল ছাড়া অসংখ্য খেলা আমাদের দেশে আছে। সেগুলিতেও প্রতিভার অভাব নেই। এইসব খেলার প্রসার ও খেলোয়াড়দের পাশে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যদি দাঁড়ায়, তাহলে বিশ্বের ক্রীড়া মানচিত্রে বারবার ভারতের নাম উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।’
❤ Support Us