Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ৭, ২০২৪

এনডিএ বৈঠকে জোট ধর্মকে গুরুত্ব। দেশ চালানোয় প্রাধান্য পাবে সর্বমত, বললেন মোদি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
এনডিএ বৈঠকে জোট ধর্মকে গুরুত্ব। দেশ চালানোয় প্রাধান্য পাবে সর্বমত, বললেন মোদি

লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পর আজ ছিল বিজেপি শাসিত এন ডি এ-র বৈঠক । সংসদের সেন্ট্রাল হল সাক্ষী থাকলো এই সভার।
আজকের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা নীতিশ কুমার, তেলুগু দেশম পার্টির নেতা তথা অন্ধ্রের ভাবি মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনার নেতা একনাথ শিন্ডে, এন সি পি নেতা অজিত পাওয়ার, জেডিইউ নেতা কুমারস্বামী প্রমুখ। বৈঠকে রাজনাথ সিং এনডিএর নেতা রূপে নরেন্দ্র মোদির নাম প্রস্তাব করেন। বিজেপির নেতা রূপেও মোদির নাম প্রস্তাব করা হয়।
সর্বপ্রথম এই প্রস্তাবে সায় দেন অমিত শাহ । সমর্থন জানান নীতিন গডকড়ীও। এন ডি এ-র শরিক দলগুলি এই প্রস্তাবে সম্মতি জানান। তারপর একে একে সমর্থন জানান কুমারস্বামী, চন্দ্রবাবু, নীতীশ, একনাথ, অজিত, চিরাগ পাসোয়ানরা।

 

ধন্যবাদজ্ঞাপন শেষে মোদি জানিয়েছেন, ‘ এনডিএ জোটের নেতা রূপে সর্বসম্মত ভাবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ২০১৯ সালের পর আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ায় আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করি। এটাই আমার কাছে বড় পুঁজি। জোট করে নির্বাচন লড়া এবং সরকার গড়ার ব্যাপারে এত বড় সাফল্য এর আগে আসেনি ।’ মোদি জানিয়েছেন, সরকার গঠনের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। তবে দেশ চালানোর জন্য প্রয়োজন সবার মতামত। নির্বাচনের আগে জোট বেঁধে লড়াই করে এনডিএ-র ন্যায় সাফল্য আর কেউ পায়নি। জানা যাচ্ছে, আজ বিকেলেই এন ডি এ-র নেতারা রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে সরকার গঠনের দাবি জানাবে। রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলেই আগামী ৯ জুন নরেন্দ্র মোদিসহ গোটা মন্ত্রীসভা শপথ গ্রহণ করবে ।

এনডিএর বড়ো শরিক রূপে বিজেপি এবারের নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যার ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করতে পারেনি। ফলে তাদের ভরসা করতে হচ্ছে অন্যান্য শরিক দলগুলিকে। তারা এবার একাধিক দাবি রেখেছেন মোদির কাছে। বৃহস্পতিবার নীতিশ কুমারের দল জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে দাবি জানানো হয়েছে যে , সরকার যদি অগ্নিবীর প্রকল্পটি পুনর্বিবেচনা করে তাহলে তারা অভিন্ন দেওয়ানি বিধি এবং ‘এক দেশ , এক ভোট’ নীতিতে বিজেপি শাসিত জোটে থাকবে। তার সাথে সুর মিলিয়ে লোক জনশক্তির নেতা চিরাগ পাসোয়ান বিহারের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ দাবি করেছেন। চন্দ্রবাবু নাইডুও অন্ধ্রের জন্য বেশ কিছু দাবি যেমন, পিছিয়ে পড়া ৭ জেলার জন্যে বিশেষ আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন। তার দাবির তালিকায় রয়েছে — অন্ধ্রের বিশেষ মর্যাদা ও বিজওয়াড়া মেট্রোর জন্য ৫০ শতাংশ অর্থসাহায্য ।

এছাড়া, শরিকদের অনেকেই বিভিন্ন মন্ত্রক দাবি করেছেন। যেমন – টিডিপি ৫ টি মন্ত্রিত্ব ও দুটি জনসেনার পদ চেয়েছে। জয়ন্ত চৌধুরীর আরএলডি একটি ক্যাবিনেট পদ দাবি করেছে। নীতিশ কুমার ৫ টি মন্ত্রিত্বের দাবি জানিয়েছেন মোদিকে। চিরাগ পাসওয়ান রেলমন্ত্রিত্ব দাবি করেছেন। একনাথ শিন্ডেও একটি ক্যাবিনেট ও একটি প্রতিমন্ত্রীর পদের দাবি জানিয়েছেন।

সরকার গড়তে এতদিন বিশেষ পাত্তা না পাওয়া জোট শরিকগুলির ওপর ভরসা রাখতে হবে বিজেপিকে । বিশেষ করে নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডুর ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দিহান রাজনৈতিক মহল। তারা বিজেপির পর সব থেকে বেশি আসন জিতেছে। ফলে জোটে তারা বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। সেক্ষেত্রে, এবারের মন্ত্রীসভা বৈচিত্র্যপূর্ণ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!