Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • আগস্ট ৫, ২০২৪

বংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্ররোচনা নয়, বজায় রাখুন শান্তি, বললেন মমতা। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ল নজরদাড়ি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্ররোচনা নয়, বজায় রাখুন শান্তি, বললেন মমতা। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়ল নজরদাড়ি

সোমবার বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীনই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় খবর পান, প্রতিবেশী বাংলাদেশে পদত্যাগ করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী। পরিস্থিতিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই আলোচনায় বসেন মুখ্যসচিব বিপি গোপালিক ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পরই পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের সব স্থল সীমান্ত গুলো রুদ্ধ করা হয়েছে । দুপুরের আগে পর্যন্ত, দুদেশের সীমান্ত পেরিয়ে বাণিজ্যিক আদানপ্রদানে যেসব পণ্যবাহী যান গিয়েছিল, তাও ফিরিয়ে আনা হয় । এই পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজির সঙ্গে আলোচনার পর বিধানসভা থেকে বেড়িয়ে, সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘ বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন, কিন্তু সেটা নিয়ে এমন কিছু বলবেন না যাতে বাংলা বা ভারতের শান্তি নষ্ট হয়। এটা আমার সবার কাছে অনুরোধ। বিশেষত রাজনৈতিক দল গুলোর কাছে । বাংলায় সবাইকে শান্ত থাকতে বলব। কেউ যেন উত্তেজনা না ছড়ায়, কেউ যেন উত্তেজনায় পা না দেয়। এটা দুটো রাষ্ট্রের মধ্যে বিষয়। ভারত সরকার নজর রাখছে, তারা যা বলবে, আমরা তা করব ।’

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরস্থিতিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায়। এদিন বসিরহাটের ঘোজাডাঙা সীমান্তে গিয়ে দেখা গেল পরিবেশ থমথমে। অন্য সময়ের মত মানু্যের ব্যস্ততা চোখে পড়েনি। দোকাপাটে লোকজন কম। বেশিরভাগই মোবাইলে বাংলাদেশের খবরের দিকে নজর। সীমান্তে চোখে পড়ল বিএসএফের তৎপরতা। গত কয়েকদিন ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। আজ বেশি কড়াকড়ি। আপাতত বিএসএফ সীমান্ত এলাকার আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার বিষয়টা নজর রাখছে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী নামানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হতেই তার প্রভাব পড়েছে বসিরহাটের ঘোজাডাঙা স্থলবন্দরে। পণ্য আমদানি রফতানি বন্ধ করা হয়েছে । অভিভাষন দপ্তরে তার প্রভাব পড়েছে। চিকিৎসার জন্য বা বিশেষ প্রয়োজনে যে সব বাংলাদেশী নাগরিক ভারতে এসেছিলেন, তাঁরা অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশে যাচ্ছেন না। তবে সংখ্যায় কমলেও আজও দু’‌দেশের মধ্যে আমদানি রপ্তানি বানিজ্য চলেছে। পচনশীল সামগ্রী যেমন ফল, পেঁয়াজ, সবজি ইত্যাদির ট্রাক এদিনও বাংলাদেশে রপ্তানি হয়েছে। তবে আমদানি রপ্তানির কোন কাজ অনলাইনে হয়নি। সীমান্ত বানিজ্যের ক্লিয়ারিং ফরোয়ার্ডিং সংস্থার আশংকা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর পরিস্থিতি যেদিকে গড়িয়েছে তাতে আমদানি রপ্তানি বানিজ্যের ওপর তার প্রভাব পড়বে। এদিকে বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে সীমান্তে নজরদারি যেমন ছিল তেমনই আছে। সেনাবাহিনী নামার কোন নির্দেশ এখনও পর্যন্ত নেই।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!