- দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
- ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
২২ ডিসেম্বর সাংসদদের বহিষ্কারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে “ইন্ডিয়া” জোটের প্রতিবাদ। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন সমঝোতার ইঙ্গিত খাড়গের
বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসেবে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করেন। মমতার প্রস্তাব সমর্থন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
আগামী ২২ ডিসেম্বর সংসদ থেকে ১৪১ জন সাংসদকে শীতকালীন অধিবেশনের থেকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে দেশজোড়া প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে “ইন্ডিয়া” জোট। বিজেপি যে ভাবে গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে মারতে শুরু করেছে সেই বিষয়টা নিয়ে কোমর বেঁধে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতির ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত হয়েছে মঙ্গলবারের “ইন্ডিয়া” জোটের বৈঠকে। এদিন ২৮টি রাজনৈতিক দল এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে এআইসিসি সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, “আগামী ২২ ডিসেম্বর সারা দেশজুড়ে ইন্ডিয়া জোটের তরফে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে। আমরা চাইছি বিজেপি যে ভাবে গণতন্ত্রের টুঁটি টিপে ধরছে এবং সংসদে ১৪১ জন সাংসদকে বহিস্কার করে যে কাজ করেছে সেটা ভারতের ইতিহাসে এই ঘটনা কখনও ঘটেনি। আমরা দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় ২৮টি দল একত্রে চলব। সারা দেশে ৮ থেকে ১০টি সভা হবে। দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে আমাদের লড়াই।”
এদিন খাড়গে বলেন, “সংসদে যে হামলা হয়েছে তা নিয়ে আমাদের খুব সঙ্গত প্রশ্ন ছিল। আমরা বলেছিলাম, যারা সংসদে ঢুকে হামলা করেছে তাদের প্রবেশের অনুমতি কে দিয়েছেন? তার পর আমরা এই বিষয়টি নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিবৃতি চেয়েছিলাম। এর মধ্যে কোনও অন্যায় নেই। কিন্তু তার ফলে আমাদের ১৪১ জন সাংসদকে বহিস্কার করা হল শীতকালীন অধিবেশন থেকে। আমরা দেখছি প্রধানমন্ত্রী বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী সংসদে হামলা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বলছেন, অথচ সংসদে বলছেন না, সংসদে আসছেন না প্রধানমন্ত্রী।”
এদিনের বৈঠকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসেবে মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম প্রস্তাব করেন। মমতার প্রস্তাব সমর্থন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে খাড়গেকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “এটা আমাদের অভ্যন্তরীন বিষয়। তিন রাজ্যে ভোটে জিতে বিজেপি অহংকারী হয়ে পড়েছে। বিজেপি বলছে দুনিয়ায় মোদিই একমাত্র নেতা। তাই আমরা আগে ভোটে জিতি, আগে সাংসদ হতে হবে। কে প্রধানমন্ত্রী হবে সেটা পরে ঠিক হবে। আগে বেশি আসনে জিতে আসতে হবে। তারপর গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতা নির্বাচন হবে। আমি কিছু চাই না। আগে তো জিতি।” তবে আসন সমঝোতা নিয়ে কেরল, পাঞ্জাব, দিল্লিতে আলোচনার প্রয়োজন আছে বললেও বাংলার নাম মুখে আনলেন না খাড়গে। তবে খাড়গে বললেন, “আমাদের প্রতিনিধি যে সব রাজ্যে আছেন তাঁরা সেই সব রাজ্যে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন। তাতে যদি সমাধান সূত্র বেরিয়ে না আসে তাহলে ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতৃত্ব সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে।৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আসন রফা হবে।” প্রসঙ্গত বৈঠক শেষে খাড়গে যখন সাংবাদিক সম্মেলন করছেন তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সোনিয়া গান্ধি, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অখিলেশ যাদব কেউই ছিলেন না।
এদিকে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব বলেছেন, “মানুষের মধ্যে বিজেপি বিরোধী প্রচার করার বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিনের বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে সেই অর্থে কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। আমরা সময় মতো প্রার্থী নিয়ে মানুষের মধ্যে বিজেপি বিরোধী প্রচারে যাব।” তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মল্লিকার্জুন খাড়গের নাম নেতা হিসেবে প্রস্তাব করেছেন কি না এই বিষয়ে সাংবাদিকরা সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরির কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রশ্ন করতে সাংবাদিককে বলেন, “বৈঠকে আপনি ছিলেন? তাহলে এই প্রশ্নের উত্তর আপনিই দিন।”
তবে বৈঠক শেষে রাহুল গান্ধিকে সাংবাদিকরা বৈঠক সম্পর্কে প্রশ্ন করলে কোনও উত্তর দেননি রাহুল গান্ধি।
❤ Support Us