- বৈষয়িক
- জানুয়ারি ১৩, ২০২৪
খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার চার মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ, শিল্পায়নে পিছিয়ে পড়ছে ভারত
ভারতে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৫.৬৯ শতাংশ, যা এ বছরে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ, এ তথ্য জানিয়েছে ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিস।
অর্থনীতিবিদ সুমন মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “চাল, পেঁয়াজ, টোম্যাটোর দাম বেড়েছে ধারাবাহিক ভাবে। এসব পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে গত চারমাসে খুচরো পণ্যে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে। গত অক্টোবরে অবস্থা এত খারাপ ছিল না, কারণ পণ্য মজুত ছিল। বাজারে পণ্যের যোগান থাকলেও মজুতকরণের ফলে সেটা কাঙ্খিত জায়গায় পৌঁছছে না। এছাড়া সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তাই আঞ্চলিক স্তরে ভোটের কথা মাথায় রেখে কেন্দ্র অনেক সুবিধা দেওয়া শুরু করেছে, লক্ষ্য একটাই, ভোট পাওয়া। তবে এই সুবিধা প্রদান করতে গিয়ে যে হারে ব্যয় হচ্ছে সেই অনুপাতে কর আদায় বাড়েনি। তবে নির্বাচনের পরে পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
গত চারমাস ধরে দেশে কখনও বেড়েছে চালের দাম, কখনও বেড়েছে ডাল, ডিমের দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পেঁয়াজ, টোম্যাটো ও অন্যান্য আনাজের দাম। ডাল, মশলা, ফলমূল থেকে শাকসবজি সবেই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে। আর তারই প্রভাব এবার সরাসরি পড়ল খুচরো বাজারের মুদ্রাস্ফীতির হারে।
নভেম্বরে দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সূচক পৌঁছেছিল ৫.৫৫ শতাংশে । আর এবার সেই সূচককেও ছাপিয়ে গেল বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে দেশে মূল্যবৃদ্ধির হারকে ৪ শতাংশে বেঁধে রাখা। কিন্তু নভেম্বরেই দেশের খুচরো মূল্যবৃদ্ধির সূচক ৫.৫৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল । এবার দেখা যাচ্ছে, খুচরো বাজারে ক্রমেই বেড়ে চলেছে মুদ্রাস্ফীতির হার। ২ মাস আগে অর্থাৎ গত নভেম্বরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৫.৫৫ শতাংশ। অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৪.৮৭ শতাংশ।
এদিকে গত ৮ মাসে শিল্পে বৃদ্ধির হার সর্বনিম্ন। গত ডিসেম্বরে শিল্পে বৃদ্ধির হার নেমেছে ২.৪ শতাংশে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, “মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধির আরও একটা অন্যতম কারণ হচ্ছে আমদানি বৃদ্ধি রফতানি হ্রাস। রাশিয়া- ইউক্রেন এবং ইসীায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের ফলে আমদানি-রফতানিতে বড় রকমের প্রভাব পড়েছে।
❤ Support Us