- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- মে ১৪, ২০২৪
বন্যা পিবর্যস্ত কেনিয়ায় ত্রাণ পাঠাল দিল্লি

ভয়াবহ বন্যায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কেনিয়া। তাদের দিকে সাহায্যের হাত আগেই বাড়িয়েছিল ভারত। এবার এই দেশ থেকে দ্বিতীয়বারের জন্য সাহায্য গেল ওদেশে। মঙ্গলবার ভারত থেকে মানবিক সহযোগী কর্মীসহ ৪০ টনের মতো ওষুধ , চিকিৎসা সংক্রান্ত অন্যান্য সরঞ্জাম গেল পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে।
উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে অবস্থিত হিন্দন বিমানবন্দর থেকে এই সমস্ত সরঞ্জাম ভারতীয় বায়ুসেনার একটি এয়ারক্রাফট মারফত উড়ে যায় কেনিয়ার উদ্দেশ্যে।
The Government of India is extending humanitarian assistance to the Government of Kenya in the wake of the devastation caused by the floods that have hit the country. 38 out of 47 countries have been affected. An estimated 267 people have died, 188 injured and over 2,80,000… pic.twitter.com/1y4DwdRFXe
— ANI (@ANI) May 14, 2024
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে ভারতকে ‘বিশ্ববন্ধু’ উল্লেখ করে লিখেছেন,’ ভারত থেকে দ্বিতীয় কিস্তিতে ৪০ টন ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রভৃতি কেনিয়ার বন্যাবিধ্বস্ত দুর্গত মানুষদের উদ্দেশ্যে পাঠানো হচ্ছে। বন্ধুত্বের একটি ঐতিহাসিক মুহূর্তের সন্ধিক্ষণে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। ‘
The second tranche of HADR material containg 40 tonnes of medicines, medical supplies and other equipment to assist flood victims leaves for Kenya.
Standing up for a historical partnership, a Vishwabandhu to the world. https://t.co/l4tkS1bQlD pic.twitter.com/Paz9nOoCcW
— Dr. S. Jaishankar (Modi Ka Parivar) (@DrSJaishankar) May 14, 2024
এর আগে ১০মে ‘ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল'(IOR)গুলির মধ্যে ভারতই প্রথম পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির উদ্দেশ্যে ত্রাণ সরবরাহ করেছিল। কেনিয়ায় ভারতীয় হাই কমিশনের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে ঘোষণা করা হয়েছিল, ‘কেনিয়ার উদ্দেশ্যে ভারতের সংহতি বার্তাবাহক হিসেবে নৌ বাহিনীর জাহাজ সুমেধা ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলির মধ্যে প্রথমবার ত্রাণ এবং চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে কেনিয়া সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। ‘
অবিশ্রান্ত বর্ষণে কেনিয়ায় রীতিমতো ধংসযজ্ঞ চালিয়েছে প্রকৃতি, যার ফলস্বরূপ ২০০ র বেশি মানুষ মারা গেছেন, হাজার হাজার মানুষ হারিয়েছেন নিরাপদ আশ্রয়। ২হাজারের বেশি স্কুল সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। এখনও অক্ষত থাকা স্কুলগুলিতে আপাত বন্ধের নোটিশ জারি করা হয়েছে।
তবে শোনা যাচ্ছে। নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত হিদায়া ইতিমধ্যেই তৈরি হচ্ছে কেনিয়ার আকাশে, যার প্রভাবে কেনিয়া ও তাঞ্জানিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল আবার নতুন করে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। ফলে কেনিয়াবাসীর দুর্গতি এখনই কমার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছেনা।
❤ Support Us