- প্রচ্ছদ রচনা
- জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
তৃতীয় ম্যাচেও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে একদিনের ক্রিকেটের শিখরে ভারত

বিশ্বকাপের বছরে একদিনের ক্রিকেটে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে ভারত। শ্রীলঙ্কার পর নিউজিল্যান্ডকেও হোয়াইটওয়াশ। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় একদিনের ম্যাচেও জয়। কিউয়িদের ৯০ রানে হারিয়ে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ভারত। একইসঙ্গে একদিনের ক্রিকেটে শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেল। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৮৫ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে ৪১.২ ওভারে ২৯৫ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড।
The new No.1 team in the @MRFWorldwide ICC Men’s ODI Team Rankings 🤩
More 👉 https://t.co/sye7IF4Y6f pic.twitter.com/hZq89ZPO31
— ICC (@ICC) January 24, 2023
টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লাথাম। ভারতীয় দুই ওপেনারের বিরুদ্ধে কোন প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি কিউয়ি বোলাররা। ৮৩ বলে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান রোহিত। ২০২০ সালের পর আবার একদিনের ক্রিকেটে সেঞ্চুরি পেলেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক। এই নিয়ে একদিনের ক্রিকেটে তাঁর সেঞ্চুরি সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০। স্পর্শ করলেন রিকি পন্টিংকে। রোহিতের পরপরই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন শুভমান গিল। তাঁর সেঞ্চুরি আসে ৭২ বলে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ওপেনিং জুটিতে ২৬ ওভারে ২১২ রান তুলে ফেলেন রোহিত ও শুভমান।
সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পরপরই মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান রোহিত। ৮৫ বলে তিনি করেন ১০১ রান। রোহিতের ইনিংসে রয়েছে ৯টি ৪ ও ৬টি ৬। রোহিত আউট হয়ে যাওয়ার এক ওভার পরেই আউট শুভমান গিল। ৭৮ বলে ১১২ রান করে তিনি টিকনারের বলে ডেভন কনওয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। শুভমানের ইনিংসে রয়েছে ১৩ টি ৪ ও ৫ টি ৬।
শুভমান আউট হওয়ার পর দলের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল বিরাট কোহলি ও ঈশান কিশানের ওপর। কিন্তু এই দুই ব্যাটার বড় রান করতে ব্যর্থ হন। ২৭ বলে ৩৬ রান করে আউট হন কোহলি। অন্যদিকে, ২৪ বলে ১৭ রান করেন ঈশান কিশান। সূর্যকুমার যাদব নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। ৯ বলে ১৪ রান করে তিনি আউট হন। ওয়াশিংটন সুন্দর ১৪ বলে করেন ৯ রান। ১৭ বলে ২৫ রান করে আউট হন শার্দুল ঠাকুর। ভারতকে ৩৮৫/৯ পৌঁছে দেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৩৮ বলে ৫৪ রান করে তিনি আউট হন।
জয়ের জন্য ৩৮৬ রানের লক্ষ্য যথেষ্ট কঠিন ছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে। তার ওপর প্রথম ওভারেই ফিন অ্যালেনকে (০) তুলে নেন হার্দিক পান্ডিয়া। শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান ডেভন কনওয়ে ও হেনরি নিকোলস। এই জুটি ভালোই এগোচ্ছিল। পঞ্চদশ ওভারে নিকোলসকে (৪২ বলে ৪০) তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন কুলদীপ যাদব। এরপর নিউজিল্যান্ডকে টানছিলেন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেল। পরপর দু’বলে মিচেল (২৪) ও টম লাথামকে (০) হারিয়ে চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই চাপ থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেনি। এই দুই ব্যাটারকে তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের মিডল অর্ডারে ভাঙন ধরান শার্দূল ঠাকুর। গ্লেন ফিলিপসকেও (৫) ফেরান তিনি।
এরপর ডেভন কনওয়েকে তুলে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয়ের আশায়া জল ঢেলে দেন উমরান মালিক। ১০০ বলে ১৩৮ রান করে আউট হন কনওয়ে। মারেন ১২টি ৪ ও ৮টি ৬। শেষদিকে মাইকেল ব্রেসওয়েল (২২ বলে ২৬) ও মিচেল স্যান্টনার (২৯ বলে ৩৪) কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। যদিও তা যথেষ্ট ছিল না। ভারতের হয়ে শার্দূল ঠাকুর ৪৫ রানে ৩টি ও কুলদীপ যাদব ৬২ বলে ৩টি উইকেট নেন। চাহাল নেন ২ উইকেট।
❤ Support Us