- দে । শ
- সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
এয়ারবাসের কাছ থেকে প্রথম সি–২৯৫ বিমান হাতে পেল ভারতীয় সেনাবাহিনী

আত্মনির্ভর হওয়ার দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে এক বড় মাইলফলক। বিশ্ব বিমান নির্মাতা সংস্থা এয়ারবাসের কাছ থেকে দেশের জন্য তৈরি হওয়া প্রথম সি–২৯৫ পরিবহন বিমান হাতে পেল ভারত। বুধবার স্পেনের সেভিলে ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরীর হাতে বিমানের চাবি তুলে দেন এয়ারবাস কর্মকর্তারা।
বিমানের চাবি হাতে পাওয়ার পর এয়ার চিফ মার্শাল ভিআর চৌধুরি বলেন, ‘এটা শুধুমাত্র ভারতীয় বিমান বাহিনীর জন্য নয়, গোটা দেশের জন্য একটা বড় মাইলফলক। প্রথমত, বিমান বাহিনীর জন্য আমাদের কৌশলগত এয়ারলিফ্ট ক্ষমতাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। দ্বিতীয়ত, সমগ্র জাতির জন্য এটা নতুন যুগের সূচনা করবে।’ আত্মনির্ভর ভারতের জন্য তিনি বলেন, ‘এই প্ল্যান্ট থেকে প্রথম ১৬টি বিমান বিমান তৈরি হওয়ার পর ১৭তম বিমানটি ভারতে তৈরি হবে৷ এটা ভারতীয় বিমান শিল্পের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ। দেশে আমরা প্রথম সামরিক পরিবহন বিমান তৈরি করব৷’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথম ১৬টি বিমান স্পেনে তৈরি হবে। এরপর বিশ্ব বিমান নির্মাতা সংস্থা এয়ারবাস ও টাটার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ৪০টি বিমান গুজরাটের ভদোদরায় তৈরি করা হবে।
সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে হিন্দানে এক অনুষ্ঠানে সি–২৯৫ বিমানটি আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং এয়ারবাসের মধ্যে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য ৫৬ টি সি–২৯৫ বিমান ক্রয়ের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। সি–২৯৫ এমডব্লিউ বিমান হল ৫–১০ টন পন্য বহনকারী একটা পরিবহন বিমান। দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং সৈন্য ও পণ্যসম্ভারের প্যারাড্রপিংয়ের জন্য বিমানটির পিছনের র্যাম্প দরজা রয়েছে। ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান ভিআর চৌধুরি ব্যক্তিগতভাবে এয়ারবাসের চুক্তির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বিমান বাহিনীর ডেপুটি চিফ চুক্তি সংক্রান্ত আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের ৪৮ মাসের মধ্যে স্পেন থেকে ১৬টি বিমান সরবরাহ করা হবে এবং চুক্তি স্বাক্ষরের ১০ বছরের মধ্যে টাকা কনসোর্টিয়াম ভারতে ৪০ টি বিমান তৈরি করবে। ৫৬টি বিমানেই একটা দেশীয় ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্যুট ইনস্টল করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই প্রকল্পটি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত অভিযান–কে উৎসাহ প্রদান করবে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ অ্যাভিয়েশন ম্যানুফ্যাকচারিং বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে। যার ফলে আমদানি নির্ভরতা হ্রাস পাবে এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।’
❤ Support Us