- এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- মে ২৭, ২০২৩
ফুটবল বিশ্বকাপের বকেয়া মজুরি নিয়ে প্রতারণা।প্রতিবাদের ফল কারাবাস।পাঁচ মাস ধরে কাতারে আটক এক ভারতীয় সহ দুই পাকিস্তানি

৫ মাসেরও বেশি অতিক্রান্ত। অথচ এখনও কাতারের জেলের ভেতরে বন্দি অভিবাসী শ্রমিক। ২০২২ কাতার ফুটবল বিশ্বকাপে কাজ করা শ্রমিকরা মজুরি নিয়ে জানুয়ারিতে বিক্ষোভ দেখানোর পর তাঁদের আটক করা হয়। সেই থেকেই এখনও জেলের ভেতরেই দিন কাটাচ্ছেন তিন অভিবাসী শ্রমিক। মানবাধিকার সংগঠন ইকুইডেম অবিলম্বে অভিবাসী শ্রমিকদের মুক্তি দাবি করছে।
বিশ্বকাপ সফল করতে হাজার হাজার অভিবাসী শ্রমিক কাতারে কাজ করেছিলেন। বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর বেশিরভাগ শ্রমিক কাতার ছেড়ে দেশে নিজেদের দেশ ফিরে গেছেন। নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা তিনজন শ্রমিকের সঙ্গে মজুরি নিয়ে বিরোধ বাধে। তারপর তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের কয়েক মাস পরেও এখনও কাতারে তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে। এমনই অভিযোগ করেছেন কাতারে বন্দী থাকা শ্রমিকদের অভিভাবকরা।
পাকিস্তানের শাকির উল্লাহ এবং জাফর ইকবাল এবং একজন ভারতীয় নাগরিককে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার রিয়াল অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ২২০০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। স্থানীয় বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা স্টার্ক সিকিউরিটি সার্ভিসেস ওই তিনজন কর্মীকে নিয়োগ করেছিল। তাঁদের কর্মসংস্থান চুক্তিতে কয়েক মাস বাকি থাকা সত্ত্বেও ফাইনালের কয়েকদিন পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু চুক্তির পুরো অর্থ দেওয়া হয়নি। বকেয়া বেতনের দাবি জানালে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মানবাধিকার সংগঠন ইকুইডেম অভিবাসী শ্রমিকদের মুক্তির জন্য লড়াই করছে। ইকুইডেমের ডিরেক্টর মুস্তাফা কাদরি বলেছেন, ‘এই ঘটনা শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি ফিফার বেপরোয়া অবহেলার প্রকৃত মূল্য যারা তাদের প্রচুর মুনাফা অর্জনে সহায়তা করে।’
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা ৯ জন বিদেশী শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলেছিল, যারা একইভাবে নিযুক্ত ছিল এবং তারা সবাই স্বীকার করেছে যে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। পাকিস্তানের এক নিরাপত্তাকর্মী বলেন, ‘আমরা কাতার গিয়েছিলাম অর্থ উপার্জন করতে এবং আমাদের পরিবারের জন্য একটি উন্নত জীবন গড়ার লক্ষ্যে। কিন্তু কোম্পানি এবং কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে।’ ফিফা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, কাতারে শ্রমিকদের অধিকারের স্থায়ী থাকবে।’
❤ Support Us