ভারতের মতো জাপানও দারুণ ছন্দে রয়েছে। আগের দুটি ম্যাচে বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে জয় তুলে নিয়েছে। এদিন ম্যাচে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে, জানাই ছিল। হারলেও জাপান কিন্তু বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়েনি। ভারত অবশ্য আক্রমণাত্মক মেজাজেই শুরু করেছিল। ৫ মিনিটেই প্রথম পেনাল্টি কর্ণার আদায় করে নেয়। হরমনপ্রীতের ফ্লিক অবশ্য বাইরে চলে যায়। ১৩ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার থেকে গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন অভিষেক। প্রথম কোয়ার্টারে ম্যাচের ফল থাকে ১–০। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আক্রমণ প্রতি আক্রমণে ম্যাচ জমে ওঠে। ২৪ মিনিটে নীলকান্তর পাস থেকে ২–০ করেন মনদীপ সিং। প্রথমার্ধে ২ গোলে এগিয়ে থাকে ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আবার দাপট ভারতের। ৩৪ মিনিটে পেনাল্টি কর্ণার থেকে ভারতের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন অমিত রোহিদাস। ৪৮ মিনিটে মনদীপের পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন অভিষেক। ৪ গোলে পিছিয়ে পড়ে জাপানের সামনে আর ম্যাচে ফেরার সুযোগ ছিল না। তবুই লড়াই ছাড়েনি জাপানীরা ৫৬ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে ব্যবধান কমান গেনকি। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জাপানের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন তাকাশি। শনিবার পরের ম্যাচে ভারত খেলবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।