- দে । শ
- অক্টোবর ২৭, ২০২৩
দ্বীপরাষ্ট্রের স্বাতন্ত্র রক্ষায় সেনা সরিয়ে নিক ভারত, নির্দেশ মালদ্বীপের নতুন রাষ্ট্রপতি মুইজুর
মালদ্বীপ নিজের সাতন্ত্র রক্ষা করতে চায়, সেজন্যই দ্বীপরাষ্ট্রে অবস্থানরত ভারতীয় সেনাদের মালদ্বীপ ছাড়তে হবে। মালদ্বীপের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজু এই মন্তব্য করেছেন। তাঁর বক্তব্যের স্বপক্ষে তাঁর যুক্তি, নয়াদিল্লি এবং বেইজিং উভয়েই এই অঞ্চলে তাদের প্রভাব বিস্তারের জন্য লড়াই করছে ৷ তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
একটি নির্বাচনী প্রচারে, মুইজ্জু দায়িত্বশীল ইব্রাহিম সোলিহকে অভিযুক্ত করে বলেছেন যে তিনি দ্বীপ রাষ্ট্রের বিষয়ে ভারতকে নিয়ন্ত্রণহীন নিয়ন্ত্রণের অনুমতি দিয়েছেন এবং সেখানে ভারতীয় সেনাদের অবস্থানের অনুমতি দিয়ে দেশের সার্বভৌমত্বকে আত্মসমর্পণ করিয়েছেন। ভারত মহাসাগর দ্বীপপুঞ্জের নবনির্বাচিত প্রধান মুইজু ব্লুমবার্গ সংবাদ মাধ্যমে একটি বিস্তৃত সাক্ষাত্কারে বলেছেন, “মালদ্বীপে ভারতীয় সামরিক উপস্থিতি হতে দেওয়া যাবে না, শুধু ভারতীয় সেনা বলেই নয়, অন্য কোনও দেশের সেনা হলেও তাঁর প্রতিক্রিয় একই রকম হবে।”
তিনি বলেন, প্রায় ৭০ জন ভারতীয় সামরিক কর্মী নয়াদিল্লি-স্পন্সর রাডার স্টেশন এবং নজরদারি বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ করে। ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ মালদ্বীপের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলে টহল দিতে সাহায্য করে।
মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি বলেন, “আমরা একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চাই যা পারস্পরিকভাবে উপকারী ও উপযোগী হবে। ভারতীয় সৈন্যদের অন্য দেশের সৈন্য দ্বারা প্রতিস্থাপিত করার কোনও প্রশ্ন নেই, সেটা করা হবেও না। ভারতকে সামরিক কর্মীদের অপসারণ করতে বলা কোনোভাবেই এই ইঙ্গিত দেয় না যে আমি চিন বা অন্য কোনও দেশকে তাদের সামরিক সৈন্যদের নিয়ে মালদ্বীপে আসতে দেব।”
মুইজু বলেছেন যে তিনি ইতিমধ্যেই ভারত সরকারের সঙ্গে তাদের সামরিক উপস্থিতি অপসারণের বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন, সেই আলোচনাগুলিকে ইতিমধ্যে অত্যন্ত সফল বলেও তিনি অভিহিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন একাধিকবার এই প্রসঙ্গ তুলেছিলেন তিনি। মালদ্বীপের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি চিন ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত, এই নেতা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মালদ্বীপে ভারতীয় সেনা থাকলে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
অক্টোবর মাসের শুরুতেই নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্টের কুরসিতে বসেছেন মুইজু। তবে প্রথম দিনই তিনি জানিয়েছিলেন, “আইন মেনে মালদ্বীপ থেকে সমস্ত বিদেশি সেনা সরিয়ে দেওয়া হবে। সামরিক বাহিনীগুলি চায় না তাদের ফেরত পাঠানো হোক। কিন্তু মালদ্বীপের জনগণ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছে।” তবে সেই সময়ে ভারতের নাম উল্লেখ করেননি নবনির্বাচিত মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মুইজু। তবে এবার সরাসরি ভারতের নাম বলে মুইজু জানালেন, মালদ্বীপের মাটি থেকে সরতে হবে ভারতীয় সেনাকে।
যদিও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি বলছেন, চিনের ক্ষেত্রেও তিনিই একই সিদ্ধন্ত নেবেন, তিনি চান না মালদ্বীপে ভারত ও চিন নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লড়াই চালাক।তবে তিনি মুখে যাই বলুন বাস্তবে যে চিনপন্থী হিসাবেই পরিচিত মুইজু। তিনি মসনদে বসলে ভারতকে নিশানা করতে পারতেন এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। ভারতের সেনা সরিয়ে চিনের প্রতি সমর্থন জানাবেন মুইজু, এই প্রশ্ন উঠছে মুইজুর নিজের দেশের অন্দরেই। তবে প্রেসিডেন্টের সাফ উত্তর, “চিন বা অন্য কোনও দেশের সেনাকেই মালদ্বীপে থাকার অনুমতি দেওয়া হবে না।” তবে ভারতের সেনা সরানো নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা এখনও নির্ধারণ করে দেয়নি মালদ্বীপ প্রশাসন।
❤ Support Us