- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ২২, ২০২৪
মে মাসেই অযোধ্যায় বাবরির বিকল্প মসজিদের নির্মাণ শুরু, জানাল ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন
অযোধ্যায় যখন ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন হচ্ছে তখন এই বছরেরই মধ্যভাগে অযোধ্যার অদূরে একটি নতুন মসজিদ নির্মাণ শুরু করার পরিকল্পনা করেছে ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন। রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে দীর্ঘ বিরোধের পরে এর ফলে নতুন করে একটি অধ্যায় শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন বা আইআইসিএফ-এর উন্নয়ন কমিটির প্রধান হাজী আরফাত শেখ বলেছেন, পবিত্র রমজান মাসের পর চলতি বছরের মে মাসে অযোধ্যায় মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু হবে এবং এই নির্মাণের জন্য চার বছর সময় লাগবে।
রামমন্দির-বাবরি মসজিদ নিয়ে কয়েক দশক ধরে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ চলছে, উভয় সম্প্রদায়ের সম্পর্ক এর ফলে তিক্ত হয়ে ওঠে। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ফলে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সমস্যা তৈরি হয়, দেশজুড়ে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ফলে ২ হাজার মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে, যাদের বেশিরভাগই ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ।
ভারতের শীর্ষ আদালত ২০১৯ সালে রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে বলেছিল, অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা বেআইনি ছিল, তবে শেষ পর্যন্ত শীর্ষ আদালত রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার রায়ে বলে, তথ্য-প্রমাণ দেখে বোঝা যাচ্ছে যে মসজিদের নীচে একটি অ-ইসলামিক কাঠামো ছিল। এই তথ্য প্রমাণকে ভিত্তি করে শীর্ষ আাদালত নির্দেশ দেয় যে মন্দির নির্মাণের জন্য বাবরি মসজিদের জায়গাটি হিন্দু গোষ্ঠীগুলিকে দেওয়া হবে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের মসজিদ নির্মাণের জন্য শহরের অন্যত্র একটি জমি দেওয়া হবে।
শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর আজ সোমবার অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধন হবে, এদিকে মুসলিম সংগঠন তহবিল সংগ্রহ করার কাজ শুরু করেছে এবং রামমন্দির থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে একটি জনশূন্য জায়গায় মসজিদ নির্কামাণের জ শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছে৷
আইআইসিএফের সভাপতি জুফর আহমেদ জুপর বলেন, আমরা মসজিদ নির্মাণের তহবিল সংগ্রহের জন্য কারো কাছে যাইনি, এটা কোনও জনসাধারণের আন্দোলন ছিল না।” অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত হিন্দু সংগঠনগুলো রামমন্দিরের জন্য অনুদান সংগ্রহ করেই রামমন্দির নির্মাণ করেছে তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে।
আইআইসিএফ-এর সম্পাদক আতহার হুসেন বলেছেন, মসজিদের মিনারের মতো কাঠামোতে আরও ঐতিহ্যবাহী উপাদান যুক্ত করার জন্য কাঠামোর নকশা পুনরায় আঁকতে হয়েছিল বলেও মসজিদ নির্মাণে বিলম্বিত হয়েছিল। মসজিদের পাশাপাশি একটি ৫০০ শয্যার হাসপাতালও তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এদিকে আইআইসিএফ-এর উন্নয়ন কমিটির প্রধান হাজী আরফাত শেখ বলেছেন, আশা করা হচ্ছে মসজিদ নির্মাণের জন্য ক্রাউড-ফান্ডিং ওয়েবসাইটটি আগামী সপ্তাহে চালু হবে। এই হাজী আরাফত শেখের রাজনৈতিক পরিচয়, তিনি হলেন একজন বিজেপি নেতা।
হাজী আরাফত শেখ বলেন, “আমাদের প্রচেষ্টা ছিল সুপ্রিম কোর্টের রায় কেউ মানুক বা না মানুক, মানুষের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণাকে প্রশমিত করে একের অপরের প্রতি বিদ্বেষ যাতে ভালোসায় পরিণত সেই প্রচেষ্টা করা এবং হিংসা, বিদ্বেষকে সুসম্পর্কে রূপান্তর করা। আমরা যদি আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এবং সমাজের সব অংশের মানুষকে ভাল জিনিস শেখাতে পারি তবেই এই লড়াই বন্ধ হয়ে যাবে।”
❤ Support Us