বামন গ্রহের রহস্যের এক নতুন দিক উন্মোচিত হতে চলেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা প্লুটোর বরফ পৃষ্ঠের নীচে লুকিয়ে থাকা একটি বিশাল মহাসাগরের প্রমাণ পেয়েছেন। আইকারাস (Icarus) পত্রিকার এক প্রবন্ধে এই আবিষ্কার প্রসঙ্গ উল্লেখিত আছে ।
গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন সেন্ট লুইসের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্সের স্নাতক ছাত্র অ্যালেক্স নগুয়েন। নাসার নিউ হরাইজনস মহাকাশযানের গাণিতিক মডেল এবং চিত্রগুলি ব্যবহার করে তাঁরা এই যুগান্তকারী রহস্য উন্মোচন করেছেন।
বিজ্ঞানী ক্লাইড ডব্লিউ টমবাউ ১৯৩০ সালে প্লুটো আবিষ্কার করেছিলেন। সৌরজগতের নবম গ্রহ হিসাবে স্বীকৃত হয়। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়ন (IAU) এটিকে ২০০৬ সালে একটি বামন গ্রহ হিসাবে শ্রেণীভুক্ত করে। রোমে মৃত্যু আর প্রেতলোকের দেবতা হলেন প্লুটো। তাঁর নামেই নতুন আবিষ্কৃত গ্রহের নামকরণ হয় ‘প্লুটো।’ গড়ে ৫.৯বিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্ব থেকে প্লুটো সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। একটি কক্ষপথ সম্পূর্ণ করতে প্রায় ২৪৬৮ পৃথিবী বছর সময় নেয়।আকারে এটি চাঁদের চেয়ে ছোট।
পর্বত, উপত্যকা, সমভূমি এবং মহাসাগরের সমন্বয়ে গঠিত প্লুটো প্রধানত শিলা এবং বরফ নিয়ে তৈরি। বামন গ্রহের একটি পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে যা মূলত নাইট্রোজেন, মিথেন এবং কার্বন মনোক্সাইড দ্বারা গঠিত। প্লুটোর পাঁচটি উপগ্রহ রয়েছে।ক্যারন, নিক্স, হাইড্রা, কারবেরোস এবং স্টিক্স। এর মধ্যে বৃহত্তম ক্যারন, যা আকারে প্লুটোর প্রায় অর্ধেক । প্লুটোর তাপমাত্রা -২২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা নাইট্রোজেন এবং মিথেনের মতো গ্যাসগুলিকেও কঠিন বরফে পরিণত করে। এইরকম স্থানে তরল জলের অস্ত্বিত্ব থাকা একপ্রকার অসম্ভব বলেই দাবি করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।নয়া অনুসন্ধান সেই তত্ত্বকে কার্যত খারিজ করছে।