Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪

সিরিয়ার কাছে হেরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে রানার্স ভারত

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
সিরিয়ার কাছে হেরে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে রানার্স ভারত

ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপের প্রথম ম্যাচে দুর্বল মরিশাসের কাছে আটকে যেতে হয়েছিল ভারতকে। ত্রিদেশীয় এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে গেলে সিরিয়ার বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না ভারতীয় দলের সামনে। ইগর স্টিম্যাকের পর মানোলো মার্কুয়েজের কোচিংয়েও ছবিটা বদলাল না। সিরিয়ার কাছে আবার সেই হার। ভারতকে ৩–০ ব্যবধানে হারিয়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে চ্যাম্পিয়ন হল সিরিয়া।
চলতি বছরের শুরুতেই কাতারে অনুষ্ঠিত এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রুপ লিগের ম্যাচে সিরিয়ার কাছে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় নিয়েছিল ইগর স্টিম্যাকের প্রশিক্ষণাধীন ভারত। ঘরের মাঠে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিশোধ নিতে ব্যর্থ মানোলো মার্কুয়েজের ভারত। এদিন ভারতীয় দলকে নিয়ে রীতিমতো ছিনিমিনি খেলল সিরিয়া। গোলের ব্যবধান আরও বাড়লে কিছু বলার ছিল না।
ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল সিরিয়ার। ৭ মিনিটে এগিয়েও যায়। ডানদিক থেকে বল নিয়ে ঢুকে মাহমুদ আলসওয়াদ পাস বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। জিকসনের পায়ে লেগে সেই বল আবার আলসওয়াদের কাছে ফিরে যায়। উচু শটে গোল করে সিরিয়াকে এগিয়ে দেন আলসওয়াদ। ১২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল আলসওয়াদের সামনে। তাঁর শট ক্রশবারে লেগে ফিরে আসে। ২০ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আলা আলদিন। গুরপ্রীতকে সামনে একা পেয়েও তিন কাঠিতে বল রাখতে পারেননি। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল ভারত। কিন্তু সিরিয়ার বক্সেই ঢুকতে পারেননি মনবীর সিং, নন্দকুমাররা।
ম্যাচে ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে কয়েকটা পরিবর্তন করেন ভারতীয় দলের কোচ মানোলো মার্কুয়েজ। জিকসনের জায়গায় নিয়ে আসেন আপুইয়াকে। নিখিল পূজারির জায়গায় নামান আশিস রাইকে। পরের দিকে সাহাল আব্দুল সামাদের পরিবর্তে মাঠে নামান মহেশ সিংকে। আক্রমণে গতি বাড়লেও খুব একটা লাভ হয়নি। আসলে পজিটিভ স্ট্রাইকারের অভাবে ভুগতে হয়েছে ভারতকে। ভারতের আক্রমণের মাঝেই ৭৬ মিনিটে সিরিয়ার হয়ে ব্যবধান বাড়ান দালেহো ইরানদাস্ত। বিনা বাধায় বক্সে ঢুকে গুরপ্রীত সিংয়ের ডানদিক দিয়ে বল জালে পাঠান। মিনিট পাঁচেক পরই পাবলো শাবাগের হেড বারে লেগে ফিরে আসে। ৮৭ মিনিটে ব্যবধান কমানোর সুযোগ এসেছিল ভারতের সামনে। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা এডমুন্ডের শট আটকে দেন সিরিয়া গোলকিপার। ইনজুরি সময়ের ৪ মিনিটের মাথায় লিস্টন কোলাসোর শট বারে লেগে ফিরে। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে সিরিয়ার হয়ে ৩–০ করেন পাবলো শাবাগ। ‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!