Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • এপ্রিল ২২, ২০২৪

নাটকীয় ম্যাচে ১ রানে জয় নাইট রাইডার্সের, আউট হয়ে মেজাজ হারালেন কোহলি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নাটকীয় ম্যাচে ১ রানে জয় নাইট রাইডার্সের, আউট হয়ে মেজাজ হারালেন কোহলি

জয়ের জন্য ২২৩ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ২ ওভারে ৩১ রান দরকার ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জাস বেঙ্গালুরুর। ১৯তম ওভারে তিনটি সিঙ্গলস নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি দীনেশ কার্তিক। কারণ, নন–স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন কর্ণ শর্মা। তাঁর ওপর ভরসা করতে পারেননি কার্তিক। অথচ, শেষ ওভারে মিচেল স্টার্কের বলে তিন–তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন কর্ণ শর্মা। যদিও শেষরক্ষা হয়নি বেঙ্গালুরুর। নাটকীয় ম্যাচে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে শেষ বলে ১ রানে জয় তুলে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
কর্ণ শর্মার হাত ধরে বেঙ্গালুরুর জয় প্রায় এসেই গিয়েছিল। শেষ ওভারে ২১ রান তোলার কঠিন কাজটা প্রায় সেরেই ফেলেছিলেন কর্ণ, নাইট রাইডার্সের সেরা বোলার মিচেল স্টার্কের প্রথম, তৃতীয় ও চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে। ২ বলে দরকার ছিল ৩ রান। লো ফুলটস বল মারতে গিয়ে স্টার্কের হাতেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন কর্ণ শর্মা (‌৭ বলে ২০)‌। শেষ বলে লকি ফার্গুসন ২ রান নিতে পারলে ম্যাচ সুপার ওভারে গড়াত। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সময় রান আউট হন ফার্গুসন।
টস জিতে নাইট রাইডার্সকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল বেঙ্গালুরু। সুনীল নারাইন (১৫ বলে ১০)‌ ব্যর্থ হলেও ঝড় তুলেছিলেন ফিল সল্ট (‌১৪ বলে ৪৮)‌। অঙ্গকৃষ রঘুবংশীও (‌৩) রান পাননি। পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে নাইটরা তোলে ৭৫/‌৩। ভেঙ্কটেশ আয়ার (‌১৬)‌ বড় রান না পেলেও নাইট রাইডার্সকে এগিয়ে নিয়ে যান রিঙ্কু সিং (‌১৬ বলে ২৪)‌, অধিনায়ক শ্রেয়স আয়ার (‌৩৬ বলে ৫০)‌। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২২২ রান তোলে নাইট রাইডার্স। আন্দ্রে রাসেল ২০ বলে ২৭ ও রমনদীপ সিং ৯ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। যশ দয়াল ও ক্যামেরন গ্রিন নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ ও লকি ফার্গুসন।
জবাব দেওয়ার কাজটা ভাল শুরু করেছিলেন বিরাট কোহলি। তবে তাঁর ইনিংস দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।  ৭ বলে ১৮ রান করে তিনি আউট হন। নিজের আউট নিয়ে সন্তুষ্ট নন কোহলি। হর্ষিত রানার লো ফুলটস ব্যাটের ওপরের দিকে লাগিয়ে ক্যাচ দেন। আম্পায়ার আউট দিলে নো বল রিভিউ নেন কোহলি। টিভি আম্পায়র বলটি বৈধ বলে সিদ্ধান্ত দেন। ক্রিজ ছাড়ার সময় কোহলি আম্পায়ারের উদ্দেশ্যে কিছু বলেন। ডাগ আউটের সামনে গিয়ে ব্যাট ছুঁড়ে ফেলেন। ফাফ ডুপ্লেসিও (‌৭)‌ রান পাননি।
৩৫ রানে ২ উইকেট হারানোর পর বেঙ্গালুরু টেনে নিয়ে যান উইল জ্যাকস ও রজত পাতিদার। জুটিতে ৪৮ বলে ওঠে ১০২। দুজনকে একই ওভারে তুলে নিয়ে নাইটকে ম্যাচে ফেরান আন্দ্রে রাসেল। ৩২ বলে ৫৫ রান করেন জ্যাকস। ২৩ বলে ৫২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন রজত পাতিদার। ক্যামেরন ক্যামেরন গ্রিন (‌৬)‌ ও মহীপাল লোমরোরকে (‌৪)‌ একই ওভারে তুলে নিয়ে বেঙ্গালুরুকে চাপে ফেলেছিলেন সুনীল নারাইন। সুয়শ প্রভুদেশাইকে (‌১৮ বলে ২৪)‌ ফেরান হর্ষিত। বেঙ্গালুরুকে শেষ বল পর্যন্ত লড়াইয়ে রেখেছিলেন দীনেশ কার্তিক (‌১৮ বলে ২৫)‌, কর্ণ শর্মারা (‌২ বলে ২০)‌। জিতলেও নাইট সমর্থকদের আবার হতাশ করলেন মিচেল স্টার্ক। ৩ ওভারে দেন ৫৫ রান, ঝুলিতে ১ উইকেট।
এই নিয়ে টানা ৬ ম্যাচে হার রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ৮ ম্যাচ শেষে তাদের ২ পয়েন্ট। বাকি ৬টি ম্যাচেই জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ১৪। প্লে–অফে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট হবে না। অন্যদিকে, ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ‌
অন্য ম্যাচে, গুজরাট টাইটান্স ৩ উইকেটে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংসকে। সাই কিশোর (‌৪/‌৩৩)‌, নুর আমেদদের (‌২/‌২০)‌, রশিদ খানদের (‌১/‌১৫)‌, স্পিনের দাপটে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় পাঞ্জাব। জবাবে, ৫ বল বাকি থাকতে ১৪৬/‌৭ তুলে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!