নারাইন, রঘুবংশীর দাপটে দিল্লির বিরুদ্ধে বিশাল ব্যবধানে জয় নাইট রাইডার্সের

দুই দলের ক্রিকেটারদের পাশাপাশি লড়াইটা ছিল সৌরভ গাঙ্গুলি ও গৌতম গম্ভীরের মস্তিষ্কেরও। মস্তিষ্কের লড়াইয়ে বাজিমাত গম্ভীরের। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ১০৬ রানে উড়িয়ে চলতি আইপিএলে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। দুরন্ত ব্যাটিং করে নাইট রাইডার্সের জয়ের ভিত গড়ে দেন সুনীল নারাইন ও অঙ্গকৃষ রঘুবংশী। বড় ব্যবধানে জয়ের পাশাপাশি নাইটদের বড় প্রাপ্তি মিচেল স্টার্কের ছন্দে ফেরা। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে এসে উইকেটের খাতা খুললেন আইপিএলের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নাইট রাইডার্স। শুরু থেকেই ঝড় তুলেছিলেন সুনীল নারাইন। অন্য ওপেনার ফিল সল্ট (‌১২ বলে ১৮)‌ ভাল শুরু করেও বড় রান পাননি। ওপেনিং জুটিতে নাইটরা তোলে ৬০। সল্ট ফিরে যাওয়ার পর তরুণ ব্যাটার অঙ্গকৃষ রঘুবংশীকে তিন নম্বরে তুলে নিয়ে এসেছিলেন গৌতম গম্ভীর। তাঁর এই পরিকল্পনা দারুণভাবে কাজে লেগে যায়। আইপিএলের অভিষেক ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেন রঘুবংশী।
পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে ৮৮/‌১ রানে পৌঁছে যায় নাইট রাইডার্স। পুরো কৃতিত্বটাই সুনীল নারাইনের। ২১ বলে হাফ সেঞ্চুরি। ইশান্ত শর্মার এক ওভারে নেন ২৬ রান। মারেন ৩টি ৬, ২টি ৪। অবশেষে মিচেল মার্শের বলে আউট হন নারাইন। ৩৯ বলে ৮৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। মারেন ৭টি করে ৪ ৬। টি২০ ক্রিকেটে এটাই জীবনের সেরা ইনিংস নারাইনের। ২৭ বলে ৫৪ রান করে আইট হন অঙ্গকৃষ রঘুবংশী।
রাসেলকে (‌১৯ বলে ৪১ )‌ ব্যাটিং অর্ডারে এগিয়ে নিয়ে আসার পরিকল্পনাও গৌতম গম্ভীরের। তাঁর সেই সিদ্ধান্তও কাজে লেগে গেল। শেষদিকে রাসেল ও রিঙ্কু সিংয়ের (‌‌৮ বলে ২৬) ঝড়ে ৭ উইকেটে ২৭২ রান তোলে নাইটরা। আইপিএলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। অল্পের জন্য রক্ষা পেল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড (‌২৭৭/‌৩)‌।
জিততে গেলে রেকর্ড গড়তে হত দিল্লি ক্যাপিটালসকে। বিশাল রানের টার্গেটের চাপ নিতে পারেননি দিল্লির ব্যাটাররা। শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে দিল্লি। ৫ ওভারের মধ্যেই ৩৩ রানে হারায় পৃথ্বী শ (‌১০)‌, মিচেল মার্শ (‌০)‌, অভিষেক পোড়েল (‌০)‌, ডেভিড ওয়ার্নারের (‌১৮) উইকেট। কিছুটা লড়াই করেন অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (‌২৫ বলে ৫৫)‌ ও ট্রিস্টান স্টাবস (‌৩২ বলে ৫৪)। ১৭.‌২ ওভারে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় দিল্লির ইনিংস। নাইট টিম ম্যানেজমেন্টকে স্বস্তি দিল মিচেল স্টার্কের বোলিং (‌২/‌২৫)‌। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার বৈভব আরোরা ২৭ রানে তুলে নেন ৩ উইকেট। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নেন বরুণ চক্রবর্তী।‌