- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- এপ্রিল ৮, ২০২৪
যশ তান্ডবে বিধ্বস্ত গুজরাট। প্রথম জয় পেল হার্দিকের মুম্বই

বিদেশিদের টেক্কা দিয়ে আইপিএলে চমক দেখাচ্ছেন ভারতীয় জোরে বোলাররা। আগেই নজর কেড়েছেন মায়াঙ্ক যাদব। রবিবার নজর কাড়লেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের আর এক জোরে বোলার যশ ঠাকুর। তাঁর দুরন্ত বোলিংয়ে উড়ে গেল গুজরাট টাইটান্স। গুজরাটকে ৩৩ রানে হারিয়ে লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে উঠে এল লখনউ। অন্যম্যাচে, দিল্লি ক্যাপিটালসকে ২৯ রানে হারিয়ে চলতি আইপিএলে প্রথম জয় পেল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স।
রবিবার দিনের প্রথম ম্যাচে ঘরের মাঠে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। টসে জিতে মুম্বইকে ব্যাট করতে পাঠান দিল্লি ক্যাপিটালস অধিনায়ক ঋষভ পন্থ। শুরু থেকেই ঝড় তুলে ওপেনিং জুটিতে ৮০ রান তোলেন রোহিত শর্মা ও ঈশান কিষাণ। ২৭ বলে ৪৯ রান করে অক্ষর পটেলের বলে আউট হন রোহিত। চলতি আইপিএলে এদিন প্রথম খেলতে নেমেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। প্রত্যাবর্তন ম্যাচে ২ বল খেলে কোনো রান না করেই আউট হন। ঈশান কিষাণও করেন ৪২ রানে। ৬ রান করে ফেরেন তিলক ভার্মা।
১২১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল মুম্বই। হাল ধরেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া ও টিম ডেভিড। ৩৩ বলে ৩৯ রান করে আউট হন হার্দিক। শেষ ওভারে ঝড় তোলেন রোমারিও শেফার্ড। আনরিখ নর্খিয়ার শেষ ওভারে ৩২ রান নেন। প্রথম বলে বাউন্ডারি, পরের তিন বলে ছক্কা। পঞ্চম বলে আবার ৪ এবং শেষ বলে ৬। ওই ওভারই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয়। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৩৪/৫ তোলে মুম্বই। ৪ ওভারে ৬৫ রান কেন নর্খিয়া।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দিল্লি। চতুর্থ ওভারেই ওয়ার্নারকে (১০) তুলে নেন রোমারিও শেফার্ড। এরপর দিল্লিকে টেনে নিয়ে যান পৃথ্বী শ (৪০ বলে ৬৬) ও অভিষেক পোড়েল (৩১ বলে ৪১)। অধিনায়ক ঋষভ পন্থ (১) রান পাননি। দুরন্ত লড়াই করেন ট্রিস্টান স্টাবস। বাকিদের ব্যর্থতায় জয় আসেনি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ২০৫/৮ তোলে দিল্লি। দুরন্ত ব্যাটিং করে ২৫ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন স্টাবস। মারেন ৩টি ৪ ও ৭টি ৬। ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন জেরাল্ট কোয়েৎজে।
অন্যম্যাচে, গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে বড় রান তুলতে পারেনি লখনউ সুপার জায়ান্টস। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লখনউ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। শুরুতেই কুইন্টন ডিকক (৬) ও দেবদত্ত পাড়িক্কলকে (৭) তুলে নিয়ে লখনউকে ধাক্কা দেন উমেশ যাদব (২/২২)। এরপর দলকে টেনে নিয়ে যান রাহুল ও মার্কাস স্টয়নিস। ৩১ বলে ৩৩ রান করে আউট হন রাহুল। ৪৩ বলে ৫৮ রান করেন স্টয়নিস। আয়ুশ বাদোনি (১১ বলে ২০) ও নিকোলাস পুরানের (২২ বলে অপরাজিত ৩২) সৌজন্যে ১৬৩/৫ রানে পৌঁছয় লখনউ।
জয়ের জন্য ১৬৪ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লে–র ৬ ওভারে ওপেনিং জুটিতে ৫৪ রান তোলে গুজরাট। পাওয়ার প্লে–র শেষ বলে শুভমান গিলকে (২১ বলে ১৯) তুলে নেন যশ ঠাকুর। এরপর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে গুজরাটের মিডল অর্ডার। পরপর ফিরে যান কেন উইলিয়ামসন (১), সাই সুদর্শন (২৩ বলে ৩১), বি আর শরথ (৫ বলে ২)। বিজয় শঙ্কর ১৭, দর্শন নালকণ্ডে ১২, রশিদ খান শূন্য, উমেশ যাদব ২ রান করে আউট হন। রাহুল তেওয়াটিয়া ২৫ বলে ৩০ রান করেন। ১৮.৫ ওভারে ১৩০ রানে গুটিয়ে যায় গুজরাট। দুরন্ত বোলিং করে ৩০ রানে ৫ উইকেট তুলে নেন যশ ঠাকুর। আইপিএলে এটাই তাঁর জীবনের সেরা বোলিং।
❤ Support Us