- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- এপ্রিল ১৭, ২০২৪
জসের জোশে নাইটদের বিরুদ্ধে নাটকীয় জয় রাজস্থানের, ব্যর্থ নারাইনের সেঞ্চুরি

জয়ের জন্য শেষ ৬ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের দরকার ছিল ৯৬। অর্থাৎ ওভার প্রতি ১৬ রান। হাতে ৪ উইকেট। ক্রিজে স্বীকৃত ব্যাটার বলতে জস বাটলার ও রভম্যান পাওয়েল। নাইট সমর্থকরা ভেবেছিলেন জয় নিশ্চিত। সেখান থেকেই পাওয়েলকে নিয়ে লড়াই শুরু। অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে নাইট রাইডার্সের মুখের গ্রাস কেড়ে নেন জস বাটলার। তাঁর মহাকাব্যিক ইনিংসেই টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ইডেনে নাইট রাইডার্সকে ২ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল রাজস্থান রয়্যালস।
নাইটদের ইনিংস শেষ হওয়ার পর একবারের জন্যও মনে হয়নি শ্রেয়স আয়ারদের এমন করুণ পরিণতির মুখে পড়তে হবে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করে নাইট রাইডার্সকে ২২৩/৬ রানে পৌঁছে দিয়েছিলেন সুনীল নারাইন। কলকাতা নাইট রাইডার্স সমর্থকদের কাছে তারকা বলতে আন্দ্রে রাসেল, রিঙ্কু সিং, মিচেল স্টার্করা। তারকা না হয়েও নাইট দলের সবচেয়ে মূল্যবান ক্রিকেটারের নাম সুনীল নারাইন। শুধু বল হাতেই নয়, ব্যাটিংয়েও সমান সাবলীল নাইট রাইডার্সের এই অলরাউন্ডার।
চলতি আইপিএলে নাইটদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সুনীল নারাইনেরই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে করেছিলেন ২। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৪৭, দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ৮৫, চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ২৭ ও লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে করেন ৬। এদিন নাইটদের বিরুদ্ধে ৫৬ বলে ১০৯। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১৩টি চার ও ৬টি ছক্কা। ১৮ তম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টের বলে যখন বোল্ড হন, ৫ উইকেটে ১৯৫ রানে পৌঁছে গিয়েছিল নাইটরা।
ফিল সল্ট (১০), অঙ্গকৃষ রঘুবংশী (৩০), শ্রেয়স আয়ার (১১), আন্দ্রে রাসেল (১৩), ভেঙ্কটেশ আয়াররা (৮) বড় রান না পেলেও নাইটদের ২২৩/৬ রানে পৌঁছতে সমস্যা হয়নি নারাইনের জন্যই। রিঙ্কু সিং ৯ বলে ২০ ও রামনদীপ সিং ১ বলে ১ রানে অপরাজিত থাকেন। আবেশ খান ৪ ওভারে ৩৫ ও কুলদীপ সেন ৪ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট পান। ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ৩১ ও যুজবেন্দ্র চাহাল ৪ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে একটি করে উইকেট দখল করেন।
জয়ের জন্য ২২৪ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে ২২ রানে যশস্বী জয়সওয়ালের (১৯) উইকেট হারায় রাজস্থআন। ৪৭ রানের মাথায় ফিরে যান সঞ্জু স্যামসন। এরপর দলকে টানেন রিয়ান পরাগ (৩৪) ও জস বাটলার। ধ্রুব জুরেল (২) রান পাননি। ১৩ তম ওভারের প্রথম দু’বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৮) ও সিমরন হেটমায়ারকে (০) তুলে নিয়ে রাজস্থানকে চাপের মুখে ফেলে দেন বরুণ চক্রবর্তী। ১২১ রানে ৬ উইকেট হারায় রাজস্থান।
১৫ তম ওভার থেকেই তান্ডব শুরু করেন রভম্যান পাওয়েল ও বাটলার। ১৭ রান দেন বরুণ। পরের ওভারে রাসেলের বলে পাওয়েল ও বাটলার তোলেন ১৭। ১৭ তম ওভারের পঞ্চম বলে রভম্যান পাওয়েলকে (১৩ বলে ২৬) ফিরিয়ে নাইটদের জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন সুনীল নারাইন। যদিও ওই ওভারের প্রথম তিন বলে ১৬ রান নিয়ে রাজস্থানকে লড়াইয়ে রেখে যান পাওয়েল।
১৮ তম ওভারই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। মিচেল স্টার্কের বলে ১৮ রান তোলেন বাটলার। শেষ ২ ওভারে রাজস্থানের দরকার ছিল ২৯ রান। ১৯ তম ওভারে হর্ষিত রানা দেন ১৯। শেষ ওভারে রাজস্থানের জেতার জন্য দরকার ছিল ৯। প্রথম বলে ছয় মেরে শতরানে পৌঁছন বাটলার। পরের তিন বলে রান নেননি। পঞ্চম বলে ২ রান নেন। শেষ বলে ১ রান নিয়ে দলকে নাটকীয় জয় এনে দেন বাটলার। ৯টি চার ও ৬টি ছয়ের সাহায্যে ৬০ বলে ১০৭ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। আইপিএলে এটা তাঁর সপ্তম শতরান। সুনীল নারাইন, বরুণ চক্রবর্তী, ও হর্ষিত রানা ২টি করে উইকেট নেন। ৭ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই থাকল রাজস্থান। নাইটদের ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট।
❤ Support Us