Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • মার্চ ২৮, ২০২৪

রেকর্ডের বন্যা। ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৩১ রানে জয় হায়দরাবাদের। আজ রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয়ে নিয়ে আশাবাদী সৌরভ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
রেকর্ডের বন্যা। ম্যাচে মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৩১ রানে জয় হায়দরাবাদের। আজ রাজস্থানের বিরুদ্ধে জয়ে নিয়ে আশাবাদী সৌরভ

জয়ের জন্য রেকর্ড ২৭৮ রান তাড়া করতে নেমে ভালই শুরু করেছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। একসময় ১০ ওভারে তুলে ফেলেছিল ১৪১। তারপর আর লড়াই ধরে রাখতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২৪৬ রানে থেমে যেতে হল হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে। রেকর্ডের বন্যার ম্যাচে ৩১ রানে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।

এই মরশুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ব্যাটিং যে বদলে গেছে, কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচেই বোঝা গিয়েছিল। অল্পের জন্য জয় হাতছাড়া হয়েছিল। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও দুর্দান্ত দাপট নিয়ে খেললেন প্যাট কামিন্সরা। ম্যাচে তৈরি হল একের পর রেকর্ড। একদিকে যেমন আইপিএলে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড হল, তেমনই একটা ম্যাচেও সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। রেকর্ডের বন্যার ম্যাচের সাক্ষী থাকল হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের দর্শকরা।

টস জিতে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মুম্বই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে মায়াঙ্ক আগরওয়াল (‌১৩ বলে ১১)‌ ফিরে গেলেও ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মার ঝড়ে উড়ে যান মুম্বইয়ের বোলাররা। ২৪ বলে ৬২ রান করে জেরাল্ড কোয়েৎজির বলে আউট হন হেড। অন্যদিকে, ২৩ বলে ৬৩ রান করে পীযূষ চাওলার বলে ফেরেন অভিষেক। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৩টি ৪ ও ৭টি ৬।

হেড ও অভিষেক ফিরে যাওয়ার পর ঝড় তোলেন এইডেন মার্করাম ও হেনরিখ ক্লাসেন। ২৮ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থেকেন মার্করাম। ৩৪ বলে অপরাজিত ৮০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন ক্লাসেন। মারেন ৪টি ৪ ও ৭টি ৬। ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৭৭ রান তোলে হায়দরাবাদ। যা আইপিএলের ইতিহাসে রেকর্ড। আগে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে তুলেছিল  ২৬৩/৫। ওই ম্যাচে ৬৬ বলে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ক্রিস গেইল।

জয়ের জন্য পাহাড়প্রমাণ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে পিছিয়ে ছিল না মুম্বইও। মুম্বইয়ের জার্সি গায়ে আইপিএলে ২০০ তম ম্যাচে দারুণ শুরু করেছিলেন রোহিত (‌১২ বলে ২৬)‌। ভাল ছন্দে ছিলেন ঈশান কিষাণও (‌১৩ বলে ৩৪)‌। নমন ধির (‌১৪ বলে ৩০)‌, তিলক ভার্মারাও (‌৩৪ বলে ৬৪)‌ লড়াই জারি রেখে মুম্বইয়ে অবিশ্বাস্য জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার্দিক পান্ডিয়া (‌২০ বলে ২৪)‌, টিম ডেভিড (‌২২ বলে অপরাজিত ৪২)‌, রোমারিও শেফার্ডদের (‌৬ বলে ১৫)‌ প্রয়াস কাজে লাগেনি। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৪৬ রানের বেশি এগোতে পারেনি মুম্বই। প্যাট কামিন্স (‌২/‌৩৫)‌, জয়দেব উনাদকাটের (‌২/‌৪৭)‌ বোলিং ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। ম্যাচে মোট ওঠে ৫২৩ রান। যা আইপিএলে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১০ সালে চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালস ম্যাচে উঠেছিল ৪৬৯ রান।

এদিনের ম্যাচে আরও রেকর্ড হয়েছে। ম্যাচে মোট ৩৮টি ছক্কা মেরেছেন দুই দলের ব্যাটাররা। হায়দরাবাদের ব্যাটাররা মেরেছেন ১৮টি, মুম্বইয়ের ব্যাটাররা ২০টি। ২০১৮ সালে বেঙ্গালুরু ও চেন্নাই ম্যাচে মোট ৩৩টি ছক্কা হয়েছিল।

অন্যদিকে পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ব্যাটাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। প্রথম ম্যাচে হারতে হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালসকে। আজ দ্বিতীয় ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি ঋষভ পন্থের দল। ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া দিল্লি ক্যাপিটালস। তবে চলতি আইপিএলে প্রথম জয় তুলে নিতে দিল্লির ব্যাটারদের জ্বলে উঠতেই হবে।রাজস্থানের বিরুদ্ধে দলের ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে আশাবাদী দিল্লির ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, ‌‘‌মরশুমের শুরুতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। প্রথম ম্যাচে ব্যাটাররা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি। আশা করছি ব্যর্থতা কাটিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে দল ঘুরে দাঁড়াবে।’‌ বিপক্ষকে গুরুত্ব দিলেও রাজস্থানের বিরুদ্ধে পরিসংখ্যান আশাবাদী করে তুলেছে  সৌরভকে। তিনি বলেন, ‘‌‌রাজস্থানের বিরুদ্ধে আমাদের পরিসংখ্যান ভাল। দলকে জেতানোর মতো ভাল ক্রিকেটার রয়েছে। তবে জিততে গেলে ভাল ব্যাটিং করতে হবে। রাজস্থানও ভাল দল। প্রথম ম্যাচ জিতেছে। লড়াই সহজ হবে না।’‌

এদিকে প্রথম ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে রাজস্থান রয়্যালসের। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নিতে মরিয়া সঞ্জু স্যামসনরা। প্রথম ম্যাচে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে যশস্বী জয়সওয়াল বড় রান না পেলেও বুঝিয়ে দিয়েছিলেন ছন্দে রয়েছেন। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও দারুণ ফর্মে রয়েছেন। এছাড়াও রাজস্থান দলে রয়েছেন জস বাটলার, শিমরন হেটমায়ের, রিয়ান পরাগের মতো ব্যাটাররা। বোলিং বিভাগও যথেষ্ট শক্তিশালী। ‌‌‌‌দিল্লির কাজটা কিন্তু সহজ হবে না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!