Advertisement
  • এই মুহূর্তে বি। দে । শ
  • অক্টোবর ২, ২০২৪

ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

লেবাননে ইজরায়েল স্থল অভিযান শুরু করার পরপরই মধ্যপ্রাচ্যে সংকট অন্য মাত্রা পেয়ে গেছে। বেইরুটে ইজরায়েলের বোমা হামলায় ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার প্রতিশোধে হুমকি দিয়েছিল তেহরান। মঙ্গলবার রাতে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে স্থানীয় সেনা কমান্ডের নির্দেশ অনুসরণ করতে বলেছে।
মঙ্গলবার রাতে তেল আবিব, জেরুজালেম ও হাইফা লক্ষ্য করে প্রায় ১৮০টি ক্ষেপনাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। তাবরিজ, খাসান ও তেহরানের উপকণ্ঠ থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি ছোড়া হয়। এর মধ্যে অধিকাংশই আকাশপথে ধ্বংস করতে সক্ষম হয় ইজরায়েল। তবে ১২টি ক্ষেপনাস্ত্র ইজরায়েলের বিভিন্ন জায়গায় আছড়ে পড়ে। হামলায় এখনও ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর এখনো পাওয়া যায়নি। ইরানের হামলার সঙ্গে গোটা ইজরায়েল জুড়ে সাইরেনের ধ্বনি শোনা যায় বলে সংবাদসংস্থা জানিয়েছে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) পক্ষ থেকে দেশবাসীকে বলা হয়েছে, ‘‌সাইরেন শুনলে প্রত্যেককেই সুরক্ষিত এলাকায় যেতে হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানে থাকতে হবে।’‌
গতবছর অক্টোবরে গাজায় ইজরায়েলের হামলার পর থেকেই ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এবছর এপ্রিলের শুরুতে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে বোমা হামলা চালিয়ে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) এক শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যা করে ইজরায়েল। তার জবাবে ইরান এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। ৩১ জুলাই ইরানে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করে ইজরায়েল। এরপর লেবাননের বেইরুটে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে। এরপর আর চুপ থাকতে পারেনি ইরান। নাসারুল্লাহর মৃত্যুর পরই প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছিল তেহরান।
মঙ্গলবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করে ইজরায়েল। এরপরই তেল আবিব লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল ইরান। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপর ইজরায়েলের মন্ত্রীসভার সদস্যরা বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছেন। ইরানের হামলার পরপরই ইজরায়েলের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইরাক ও জর্ডনের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করলেও মধ্য ও দক্ষিণ ইজরায়েলে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হানে। তেল আবিবে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে দুজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজরায়েল। ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কিছুক্ষণ আগে তেল আবিবে পৃথক বন্দুকধারীর হামলায় আটজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় দুজন বন্দুকধারীও নিহত হন।
এদিকে, লেবাননে ইজরায়েলের হামলায় মঙ্গলবার ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫৬ জন। সোমবার ৯৫ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছিলেন ১৭২ জন। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্তারা জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহ ধরে চলা মুহুর্মুহু হামলায় লেবাননে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!