Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৩

ইরানের পার্লামেন্টে কঠোর “হিজাব ও সতীত্ব বিল” পাশ, পোশাকবিধি ভাঙলে ১০ বছর কারাবাস, এবার কী রাষ্ট্রের মদতে নারী নির্যাতনের শুরু ?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ইরানের পার্লামেন্টে কঠোর “হিজাব ও সতীত্ব বিল” পাশ, পোশাকবিধি ভাঙলে ১০ বছর কারাবাস, এবার কী রাষ্ট্রের মদতে নারী নির্যাতনের শুরু ?

রাষ্ট্রের মদতে নারী নির্যাতনকে স্বীকৃতি দিল ইরান সরকার। মাহসা আমিনির মৃত্যুতে গোটা দুনিয়ায় সারা পরে গিয়েছিল, তাঁর জন্য কেঁদেছিল সারা বিশ্ব। চোখের জল ফেলেছে ইরানও। হিজাবের শিকল ভেঙে ফেলতে বেনজির গণউত্থানের সাক্ষী থেকেছিল এই ইসলামিক দেশটি। তবে মোল্লাতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে থাকা তেহরানে পরিস্থিতি বিশেষ পালটায়নি। রাষ্ট্রের মদতে নারী নির্যাতন অব্যাহত। তাই বলা যায় ইরান আছে ইরানেই।

ইরান পার্লামেন্ট শরিয়তের পোশাকবিধি বলবৎ করতে মহিলাদের জন্য বিশেষ বিল পাশ করল। এর ফলে রাষ্ট্রের মদতে নারী নির্যাতন যে কতটা চরমে উঠেছে তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল। ইরানের সরকারি সংবাদ সংস্থা “ইরনা” (IRNA) জানিয়েছে, বুধবার “হিজাব ও সতীত্ব সমর্থন” বিল পাশ করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। “গার্ডিয়ান কাউন্সিল”-এর সবুজ সংকেত পেলেই তা এবার আইনে পরিণত হবে। নতুন বিলটিতে বলা হয়েছে, বিদেশি সরকার, সংগঠন বা সংবাদমাধ্যমের প্ররোচনায় মহিলারা হিজাব না পরলে বা “অশ্লীল” পোশাক পরলে পাঁচ থেকে দশ বছরের জেলের সাজা হতে পারে। তার অর্থ হচ্ছে এবার ইরানে  নীতি পুলিশিকে আইনি বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা শুরু করল ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির প্রশাসন।

গোটা বিশ্ব কেঁপে উঠেছিল গত  ২০২২-এর ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানের নীতি পুলিশের মারে ২২ বছরের কুর্দ তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনায়। ঠিকমতো হিজাব পরেননি, এটাই ছিল তাঁর সবচেয়ে বড় অপরাধ। ওই ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে শুরু হয় প্রতিবাদী মিছিল। স্বৈরশাসকের বিরোধিতায় ইটালির বুকে তৈরি হওয়া “বেলা চাও” গানটি গেয়ে ইরানের রাস্তায় প্রতিবাদ জানাতে দেখা গিয়েছিল সে দেশের মেয়েদের। হিজাব বিরোধী ওই আন্দোলনে তখন  শামিল হয়েছিল পুরুষদের একাংশও। সেই আন্দোলনের জেরে বেকায়দায় পড়লেও অবস্থান বদলে কোনও ভাবেই  রাজি নয় ইরানের সরকার, এই “হিজাব ও সতীত্ব  সমর্থন” বিল সেটাই প্রমাণ করছে। তেহরানের দাবি, এই বিক্ষোভের পিছনে হাত ছিল আমেরিকার। সেই সময় আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ দমনে করতে নির্বিচারে বিক্ষোভকারীদের উপর গুলিবোমা চালাতে দেখা গিয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের অনেককেই দেওয়া হয়েছিল ফাঁসির সাজা। আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে যে বিক্ষোভ হয়েছিল বছরব্যাপী সেই বিক্ষোভে, কমপক্ষে ৫০০ জন নিহত এবং ২২ হাজার জনকে আটক করা হয়েছিল। এবার হিজাব আইন আরও কড়া করে প্রতিবাদীদেরই বার্তা দিল ইরান প্রশাসন এবং বুঝিয়ে দিল, কোনও ভাবেই নারী স্বাধীনতা তাদের প্রশাসন মেনে নেবে না।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!