- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- মে ২২, ২০২৪
রাইসির মৃত্যুতে স্পটলাইট এসে পড়েছে খামেনি পুত্র মোজতবার ওপর, উত্তরাধিকার হলে ইরানে আবার বিপ্লব?

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হত ইব্রাহিম রাইসিকে। তাঁকেই দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে বসিয়েছিলেন খামেনি। হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মৃত্যুর পর খামেনির উত্তরাধিকার নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। কয়েক দশক ধরে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের স্তম্ভ হিসাবে রাইসির রেকর্ড তাঁকে বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি ও আয়াতুল্লাহ খামেনির পর তৃতীয় সর্বোচ্চ নেতা হওয়ার দিকে এগিয়ে দিয়েছিল। রাইসির মৃত্যুর পর এই মুহূর্তে খামেনির উত্তরসূরী হিসেবে যাবতীয় স্পটলাইট এসে পড়েছে খামেনির ছেলে মোজতবার ওপর।
ইরানের সংবিধান অনুসারে সংসদের বিশেষজ্ঞ কমিটি দ্বারা নিযুক্ত হওয়ার পর দেশের সর্বোচ্চ নেতা আজীবন দায়িত্ব পালন করবেন এবং পররাষ্ট্র নীতিসহ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির মৃত্যুর পর ১৯৮৯ সাল থেকে এই পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন ৮৫ বছর বয়সী খামেনি। ইব্রাহিম রাইসি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের একজন কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি বিচার বিভাগের প্রধান এবং রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাঁর কর্মজীবনের গতিপথ নির্দেশ করে যে তাঁকে সর্বোচ্চ নেতৃত্বের ভূমিকার জন্য খামেনি তৈরি করছেন। রাইসি ছাড়াও ৫৪ বছর বয়সী মোজতবা খামেনিও লড়াইয়ে ছিলেন। তবে তিনি কখনও প্রকাশ্যে আসেননি। রাইসির মৃত্যুর পর উত্তরাধিকার হিসেবে মোজতবা খামেনির নাম উঠে এসেছে।
বার্লিনভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘সেন্টার ফর মিডল ইস্ট অ্যান্ড গ্লোবাল অর্ডার’–এর পরিচালক আলি ফাতুল্লাহ–নেজাদ বলেছেন, ‘রাইসিকে উত্তরসূরি হিসেবে দেখা হয়েছিল কিনা তা বলা খুব কঠিন। তবে তাঁকে প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ খামেনির অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দেয়।’ ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের সুজান ম্যালোনি বলেছেন, ‘রাইসির মৃত্যু উত্তরাধিকার প্রক্রিয়াকে নতুন আকার দিয়েছে। মোজতবা খামেনিকে সবচেয়ে বিশিষ্ট প্রতিযোগী হিসাবে তুলে ধরেছে৷ মোজতবা পর্দার আড়ালের শক্তি।’
পাবলিক প্রোফাইল কম থাকা সত্ত্বেও মোজতবা খামেনিকে সর্বোচ্চ নেতার অফিসে সেকেন্ড–ইন–কমান্ড বলে মনে করা হয়। পর্যবেক্ষকরা পর্দার পিছনে তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব লক্ষ্য করেন। মোজতবার উত্থানের সম্ভাবনা বংশগত শাসনের দিকে সম্ভাব্য পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে, যে ধারণাটি ইরানের নেতৃত্বের মধ্যে অনেকেই বিরোধিতা করেন। কারণ রাজবংশীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিপ্লবী শিকড় রয়েছে। যদি খামেনি মারা যান এবং মোজতবাকে উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করা হয়, তাহলে ইরানে নতুন করে বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। শাসন ক্ষমতা ও নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে ফাটল দেখা দিতে পারে।
❤ Support Us