- প্রচ্ছদ রচনা
- মার্চ ৮, ২০২২
বেইজিং কি নিরপেক্ষ অবস্থানের পথে? পুতিনের হুমকি, বাড়াবাড়ি করলে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেবে রাশিয়া। নরখাদক যুদ্ধে নিহত রাশিয়ার মেজর জেনারেল ।
আজ আবার রুশ-ইউক্রেনের বৈঠক ।

ছবি: সংগৃহীত ।
ইউক্রেনে রুশ হামলা এবং ইউক্রেনবাসীর প্রতিরোধ অব্যাহত । দুদেশের সর্বশেষ বৈঠক ভেস্তে গেছে। আজ আবার তাঁরা আলোচনায় বসবেন । চিন পরোক্ষে রাশিয়ার উপর চাপ তৈরি করছে। ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের উপর রুশ হামলা, যুদ্ধের নিরীহের হত্যা এবং ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে । আবার ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার অবস্থানকেও সমর্থন করছে। চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-এর ইঙ্গিত, যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে চিন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত। আমরা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের সমার্থক। কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে যুদ্ধ যতটা বন্ধ করা সম্ভব- তার জন্য চিন তৈরি । ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীকেই এই আশ্বাস দিয়েছেন ওয়াং ।
রাশিয়া একদিকে আলোচনা চালাচ্ছে। অন্যদিকে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে হামলা অব্যাহত রেখেছে । যুদ্ধহীন বৈঠকে মস্কোর আগ্রহ নেই। একথা আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি জানে। রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে হলে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাই প্রধান অস্ত্র । এ ব্যাপারে পশ্চিমী দেশগুলি বাণিজ্যিক লেনদেনের ওপর বেশ কিছু বব্যস্থা গ্রহন করেছে। প্রমাণ করতে চাইছে, যুদ্ধবাজ পুতিনকে রুখতে হলে অর্থনীতির ওপর আঘাত হানতে হবে। পুতিনও মরিয়া । মস্কো ঘোষণা করেছে, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকলে রাশিয়া ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেবে ।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ আজ ১৩ দিনে পড়ল । ইউক্রেনের চাইতে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতি কম নয়। তার কয়েকটি যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্ত । প্রাণ হারিয়েছেন বহু সেনা। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা শাখা জানিয়েছে, খারকিভের কাছাকাছি লড়াইয়ে রাশিয়ার একজন মেজর জেনারেল নিহত হয়েছেন। নাম ভিতালি গেরাসিমভ । তিনি ছিলেন রাশিয়ার কেন্দ্রীয় সামরিক অঞ্চলের ডেপুটি কমান্ডার এবং চিফ অফ স্টাফ ।
আন্তর্জাতিক চাপে নিরীহ নাগরিগদের যুদ্ধক্ষেত্রে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া । বলেছে, তারা একটি ‘সাইলেন্ট রেজিম’ তৈরি করবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের ‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে যাওয়ার সুযোগ গড়ে তুলবে । যুদ্ধে সাধারণত যা হয়, যেমন তথ্য গোপন, অতিরঞ্জন এবং জাতিবিদ্বেষের ঝড়ো হাওয়া বইয়ে দেওয়া—ইত্যাদি ক্রিয়াকাণ্ড রুশ-ইউক্রেনের যুদ্ধে আকছার ঘটছে। সত্য-মিথা ভেদ করা কঠিন হয়ে উঠছে । সাধারণ মানুষ যুদ্ধ বিরোধী । তারা চায় শান্তি আর আলোচনার মাধ্যমে উদ্ভুত পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ও সমস্যার সমাধান । এদিকে আক্রান্ত আর আক্রমণকারীর নজর কোথায়? যুদ্ধ যুদ্ধ হুঙ্কারের আড়ালে অবরুদ্ধ চাপা পীড়িতের আর্তনাদ।
❤ Support Us