Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • অক্টোবর ১৪, ২০২৩

দলে দলে গাজা ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা। তেল আভিভের আক্রমণ অব্যাহত। নিহত বহু নিরিহ নাগরিক। ইসরায়েলের দাবি, হামাস বিমান বাহিনির প্রধান নিহত। ইসরায়েলকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্দেশ, যুদ্ধ থামাও, ফিলিস্তিনিদের গাজায় থাকতে দাও। যুদ্ধ নিয়ে বিশ্ব বিভাজিত।

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দলে দলে গাজা ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা। তেল আভিভের আক্রমণ অব্যাহত। নিহত বহু নিরিহ নাগরিক। ইসরায়েলের দাবি, হামাস বিমান বাহিনির প্রধান নিহত। ইসরায়েলকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নির্দেশ, যুদ্ধ থামাও, ফিলিস্তিনিদের গাজায় থাকতে দাও। যুদ্ধ নিয়ে বিশ্ব বিভাজিত।

ইসরায়েলের বিমান বাহিনী দাবি করছে, রাতভর চালানো বিমান হানা ফলিস্তিনি সন্ত্রাসী হামাসের বিমান বাহিনীর প্রধান মুরাদ আবু মুরাদকে হত্যা করেছে। এই বিমান হামলাটি যেখানে ঘটানো হয়েছে, সেখান থেকেই সন্ত্রাসীরা গাজা উপত্যকার তাদের বিমান হানার কাজ পরিচালনা করছিল।

ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বলছে যে মুরাদ আবু মুরাদ শনিবার গণহত্যার সময় সন্ত্রাসীদের নির্দেশ দেওয়ার মূল দায়িত্বে ছিলেন।
এক্স-এর একটি পোস্টে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী লিখেছে, “এছাড়াও গত দিনে বিমান বাহিনীর যুদ্ধ বিমান সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের অপারেশনাল হেডকোয়ার্টারে হামলা চালায়, যেখান থেকে সন্ত্রাসী সংগঠনটির বিমান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সেই হামলার সময় মুরাদ আবু মুরাদ, যিনি গাজা শহরের বিমান বাহিনীর প্রধান, যিনি শনিবার হত্যাকাণ্ডে সন্ত্রাসীদের একটি বড় ভূমিকায় ছিলেন, তিনি নিহত হন।”
টাইমস অফ ইসরায়েল জানিয়েছে,  রাতারাতি পৃথক হামলায়, ইসরায়েলি বিমান বাহিনী সম্ত্রাসীদের কমান্ডো বাহিনীর অন্তর্গত কয়েক ডজন জায়গায় আঘাত হেনেছে, যারা ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অনুপ্রবেশে নেতৃত্ব দিয়েছিল। ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বলেছে, “ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে ইসরায়েল নিজেদের রাষ্ট্রকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাবে।”

এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করা একটি পোস্টে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বলছে,
“গত রাতে, আইএএফ ফাইটার জেটগুলি গাজা উপত্যকার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ব্যাপক হামলা চালায়। এর মধ্যে কয়েক ডজন সন্ত্রাসী তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল এবং সেই সঙ্গে গাজার “নুখবা” সন্ত্রাসী পরিচালকরা একটি মঞ্চও তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল।
ইসরায়েলি বিমান বাহিনী তাদের অন্য একটি এক্স হ্যান্ডেলের আপডেট পোস্টে লিখেছে, কিছুক্ষণ আগে আইডিএফ সৈন্যরা একটি সন্ত্রাসী সেলকে শনাক্ত করেছিল, যেটি লেবানন থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল। আইএএফ ইউএভি সৈন্যরা সন্ত্রাসী সেলকে লক্ষ করে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে।

ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল জোনাথন কনরিকাস শনিবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসীদের সংঘর্ষ নিয়ে সর্বশেষ আপডেট উল্লেখ করেছেন যে গাজা উপত্যকার লোকেরা ইসরায়েলের সতর্কবার্তা শুনছে এবং সঠিক কাজ করছে, যে ফিলিস্তিনের সাধারণ মানুষেরা দক্ষিণ দিকে উল্লেখযোগ্যভাবে চলে গিয়েছে।
করনিকাস বলেছেন, “আমরা দক্ষিণের দিকে ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষের একটি উল্লেখযোগ্য আন্দোলন দেখেছি… আমরা দেখেছি লোকেরা আমাদের সতর্কবার্তা শুনছে, তারা বুঝতে পেরেছে যে তারা চতুর কাজ করছে, পরিবারের কথা ভেবে বিপজ্জনক এলাকা থেকে সরে যাচ্ছে।”

শুক্রবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা শহর থেকে সব সাধারণ মানুষদের সরে যওয়ার আহ্বান জানায়। আইডিএফ বলেছে, তারা তাদের উদ্দেশ্য জানিয়ে দিয়েছিল কারণ, তারা চায় না যে যুদ্ধে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হোক। আইডিএফ আরও বলেছে, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী এবং তার সামরিক পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।

করনিকাস আরও জানান, “আমরা আমাদের উদ্দেশ্যগুলি আগে থেকেই প্রচার করেছি কারণ এই যুদ্ধের কোনও সামরিক যুক্তি নেই তবে আমরা চাই যে যুদ্ধে সাধারণ মানুষ যেন প্রভাবিত না হন। আমরা সাধারণ মানুষদের সেই ভাবনায় রাখিনি, তারা আমাদের শত্রু নয়। আমরা কোনও সাধারণ মানুষকে হত্যা বা আহত করার চেষ্টা করছি না। আমরা সন্ত্রাসী এবং তাদের সামরিক পরিকাঠামোর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এখানেই আমরা গাজা উপত্যকার চারপাশে এবং গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলকে লক্ষবস্তু করেছি।”
করনিকাস উল্লেখ করেছেন যে এই যুদ্ধের এখন শেষ অবস্থা, ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী ও তাদের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংস। আইডিএফ মুখপাত্র বলেছেন, “আমরা হামাস এবং তাদের সামরিক সক্ষমতা ঙেঙে দিয়েছি এবং পরিস্থিতিকে এমন ভাবে পরিবর্তিত করেছি যাতে হামাস আর কখনও ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ বা সৈন্যদের ক্ষতি করার ক্ষমতা না পায়।” ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে যে গাজায় সন্ত্রাসীদের হাতে ১২০ সাধারণ মানুষ বন্দি হয়ে আছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!