- দে । শ
- ডিসেম্বর ৯, ২০২৩
দেশ থেকে “আইএস” দমনে ৪১টি জায়গায় এনআইএ অভিযান, গ্রেপ্তার ১৫
ভারত জুড়ে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস জঙ্গিদের ডেরার খোঁজে ৪১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। আইএসের সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার সন্দেহে ১৫ জনকে ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে এনআইএ। মুম্বই ও কর্নাটকের মোট ৪১টি জায়গায় শনিবার শোলাক থেকেই তল্লাশি শুরু করেছে এনআইএ। পুনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই সন্দেহভাজনদের। এনআইএ-র তল্লাশি অভিযান চলছে পুনে, মীরা ভায়ান্দার, থানে গ্রামীণ ও শহরাঞ্চলে। এনআইএ সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জঙ্গিদের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ছক বানচাল করতে সক্ষম হয়েছে। বিদেশের মাটিতেই তৈরি হয়েছিল ভারতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর নীলনকশা। এর সঙ্গে যোগ রয়েছে আইএসআইএসের। এই তদন্তে ইসলামিক স্টেটের চরমপন্থী আদর্শ ভারতে ছড়ানোর পরিকল্পনাও ভেস্তে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে কয়েকজন মিলে একটি নেটওয়ার্কের জাল তৈরি করে এই চরমপন্থী কাজ করত।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের চারটি জায়গায় অভিযান চালায় এনআইএ। সেই সময়ও পুণের একটি জায়গাতেও তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। মূলত, ইসলামিক স্টেট সমর্থকদের ডেরাতেই এই তল্লাশি অভিযান হয়। এনআইএ-র কাছে খবর ছিল, ভারতে হামলা চালানোর ছক কষছে ইসলামিক স্টেট। মুম্বইয়ের মতো একাধিক শহরে সক্রিয় হয়েছে জেহাদিদের স্লিপার সেলগুলো। চলতি বছরের শুরুতে এনিয়ে একটি মামলাও করে এনআইএ। সেই মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবেই শনিবার অভিযান শুরু করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ।
ভারতে দ্রুত ঘাঁটি গাড়ছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট। জম্মু-কাশ্মীর ও পশ্চিমবঙ্গকে জেহাদি দলটি তাদের ট্রানজিট রুট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে বলে গোয়েন্দা মহলের কাছে খবর আছে। কাশ্মীরে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির জায়গা নিতে চাইছে আইএস। বাংলাদেশ হয়ে পশ্চিমবঙ্গে জামাত-উল-মুজাহিদিনের হাত ধরে ঢুকে পড়েছে সংগঠনটি।
তবে ইসলামিক স্টেট শুধু একটি দল নয়। আইএস একটি মতাদর্শ। আইএস -এর উদ্দেশ্য সারা বিশ্বে শরীয়ত আইন লাগু করে খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা। আর এই মতাদর্শ ভারতীয় মহাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে আইএস ।
❤ Support Us