Advertisement
  • মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ডিসেম্বর ৩০, ২০২২

দুরন্ত ক্লেইটনের জোড়া গোলে বেঙ্গালুরুকে ২-১ ব্যবধানে হারাল ইস্টবেঙ্গল

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দুরন্ত ক্লেইটনের জোড়া গোলে বেঙ্গালুরুকে ২-১ ব্যবধানে হারাল ইস্টবেঙ্গল

আইএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ঘরের মাঠে বেঙ্গালুরু এফসি-কে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে মূল্যবান ৩ পয়েন্ট ঘরে তুলল ইস্টবেঙ্গল। জোড়া গোল করে লালহলুদের জয়ের নায়ক ক্লেইটন সিলভা। ১১ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট পেয়ে অষ্টম স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।

প্রথম একাদশে তিনটি পরিবর্তন করে এদিন দল সাজিয়েছিলেন লালহলুদ কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইন। এই তিনটি পরিবর্তন বদলে দেয় ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচের শুরু থেকেই বেঙ্গালুরুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। ৪ মিনিটে সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। ডি বক্সের মাথা থেকে শট নিয়েছিলেন অ্যালেক্স লিমা। বেঙ্গালুরু এফসি-র এক ডিফেন্ডারের মাথায় লেগে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। ১২ মিনিটে জর্ডনের ক্রস মাথা দিয়ে ফ্লিক করেছিলেন ক্লেইটন সিলভা। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বল তালুবন্দী করেন বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিং।

২৬ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। পিরেসের পাস থেকে বল পেয়ে শট নিয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। লালহলুদ গোলকিপার শুভম সেন সেই শট আটকে দেন। ৩০ মিনিটে সুহের একটা দারুণ পাস বাড়িয়েছিলেন। বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি ক্লেইটন। ২ মিনিট পরেই গোল করার সুযোগ এসেছিল রয় কৃষ্ণার সামনে। কাজে লাগাতে পারেননি। ৩৯ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল বক্সের মধ্যে হ্যান্ডবল করেন জেভিয়ার হার্নান্ডেজ। রেফারি পেনাল্টি নির্দেশ দেন। বেঙ্গালুরু গোলকিপার গুরপ্রীত সিংকে উল্টোদিকে ফেলে ঠান্ডা মাথায় গোল করে দলকে এগিয়ে দেন ক্লেইটন সিলভা।

দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু। ৪৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে সুবিধাজনক জায়গায় বল পেয়েছিলেন রয় কৃষ্ণা। তাঁর শট আটকে দেন শুভম সেন। ৫৪ মিনিটে সমতা ফেরায় বেঙ্গালুরু। ডানদিক থেকে বল নিয়ে ঢুকে ইভান গঞ্জালেসকে গতিতে পরাস্ত করে মাইনাস করেছিলেন। ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান জেভিয়ার হার্নান্ডেজ। দ্বিতীয়ার্ধে ইস্টবেঙ্গল একেবারে ছন্নছাড়া ছিল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাপট দেখায় বেঙ্গালুরু। ৭৭ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বেঙ্গালুরুর সামনে। গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসে লালহলুদের নিশ্চিত পতন রোধ করেন শুভম সেন। ৮৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে ৩ পয়েন্ট এনে দেওয়ার সুযোগ এসে গিয়েছিল ক্লেইটন সিলভার সামনে। আলেক্স লিমার পাস থেকে সামনে গুরপ্রীতকে সামনে পেয়েও বল জালে রাখতে পারেননি। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে জয়ের সেই কাঙ্খিত গোল এনে দেন ক্লেইটন সিলভা। ফ্রিকিক থেকে বিশ্বমানের গোল করে দলকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দেন ক্লেইটন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!