Advertisement
  • এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • ডিসেম্বর ২০, ২০২৩

‌চরম উত্তেজনার ম্যাচে ৭ লালকার্ড, মুম্বইয়ের কাছে আবার হার মোহনবাগানের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
‌চরম উত্তেজনার ম্যাচে ৭ লালকার্ড, মুম্বইয়ের কাছে আবার হার মোহনবাগানের

মুম্বই সিটি এফসি বরাবরই মোহনবাগানের কাছে শক্ত গাঁট। আইএসএলে মুম্বইয়ের এই দলের বিরুদ্ধে আগে কখনও জয়ের মুখ দেখেনি। বুধবারও এগিয়ে গিয়েও হারতে হল সবুজমেরুণ ব্রিগেডকে। মুম্বই সিটির জয় ২–১ ব্যবধানে। টানা ৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হারতে হল মোহনাগানকে। চরম উত্তেজনার ম্যাচে ৭ জন ফুটবলার লালকার্ড দেখেন। ম্যাচ চলাকালীন মোহনবাগানের আশিস রাই ও লিস্টন কোলাসো, মুম্বইয়ের আকাশ মিশ্র ও গ্রেগ স্টুয়ার্ট। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে লাল কার্ড দেখেন মোহনবাগানের হেক্টর ইউৎসে ও মুম্বিয়ের রাহুল ভেকে, বিক্রম প্রতাপ সিং। আর হলুদ কার্ড দেখেন ৭ ফুটবলার।
ঘরের মাঠে দারুণ শুরু করেছিল মুম্বই সিটি। কিন্তু ম্যাচের ১৩ মিনিটেই বড় ধাক্কা খায় মুম্বই। মনবীর সিংকে পেছন থেকে সরাসরি পা চালিয়ে লালকার্ড দেখে বেরিয়ে যান আকাশ মিশ্র। সেই সুযোগটা কাজে লাগায় মোনবাগান। বিপক্ষ সংখ্যাধিক্যে কম থাকায় আক্রমণে চাপ বাড়িয়ে ম্যাচের ২৫ মিনিটে গোল তুলে নেয়। মাঝমাঠ থেকে বাঁ প্রান্তে বল পান লিস্টন কোলাসো। এগিয়ে গিয়ে তিনি বক্সের মধ্যে বল বাড়ান। জেসন কামিংসের সঙ্গে একই লাইনে থাকা মুম্বই সিটি এফসি ডিফেন্ডাররা বলে পা ছোঁয়াতে পারেননি। ডানপায়ের হালকা পুশে বল জালে পাঠান কামিংস। চলতি আইএসএলে এটা তাঁর চতুর্থ গোল। ৩০ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর ফ্রিকিক থেকে হেডে বল জালে পাঠিয়েছিলেন শুভাশিস বসু। কিন্তু অফসাইডের জন্য তাঁর সেই গোল বাতিল হয়ে যায়।
সমতা ফেরানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে মুম্বই সিটি এফসি। কিন্তু সবুজমেরুণ ডিফেন্স আঁটোসাঁটো থাকায় দিয়াজ, বিপিন রাই, গ্রেগ স্টুয়ার্টরা সুযোগ পাচ্ছিলেন না। ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত হিজাজিকে দিয়ে বোতলবন্দী করে রেখেছিলেন গ্রেগ স্টুয়ার্টকে। জ্বলে ওঠার সুযোগ পাননি। প্রথামার্ধের একেবারে শেষলগ্নে মোহনবাগানের রক্ষণব্যুহ ভেদ করে দলকে সমতায় ফেরান স্টুয়ার্ট। বাঁদিক থেকে দিয়াজ আক্রমণ গড়ে তুলেছিলেন। ফাইনাল থার্ডে তিনি বল দেন বিপিন রাইকে। বিপিনের ক্রস থেকে হেডে গোল করে সমতা ফেরান স্টুয়ার্ট। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে দলকে এগিয়ে দেওয়ারও সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর শট মোহনবাগানের এক ডিফেন্ডারের গায়ে গেলে বারের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে নাটক জমে ওঠে। ৫৫ মিনিটে জর্জ দিয়াজকে জঘন্য ফাউল করে লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মোহনাবাগানের আশিস রাই। ৩ মিনিট যেতে না যেতেই আবার অঘটন। ভালপুইয়াকে ফাউল করেছিলেন শুভাশিস বসু। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে শুভাশিসকে হলুদ কার্ড দেখান। সামনেই ছিলেন লিস্টন কোলাসো। তিনি রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে লিস্টনকে লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বার করে দেন। ৯ জন হয়ে যায় মোহনবাগান।
এরপর মাঠে ‘‌ফ্রেশ লেগ’ নিয়ে আসেন মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দো। ৬১ মিনিটে দু’‌দুটি পরিবর্তন করেন। কামিংস ও হুগো বুমোসকে তুলে দিমিত্রি পেত্রাতোস ও কিয়ান নাসিরিকে মাঠে নিয়ে আসেন। ৬৭ মিনিটে দীপক টাংরির জায়গায় আর্মান্দো সাদিকুকে নামান। কিন্তু মোহনবাগানের একজন ফুটবলার কম থাকায় সংখ্যাধিক্যে এগিয়ে ছিল মুম্বই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৭৩ মিনিটে এগিয়ে যায়। ছোট কর্নার থেকে গ্রেগ স্টুয়ার্ট বল দেন বিপিন রাইকে। বিপিন সেন্টার করতে চেয়েছিলেন। মোহনবাগানের এক ফুটবলারের পায়ে লেগে দিক পরিবর্তন করে বল গোলে ঢুকে যায়। বাগান গোলকিপার বিশাল কাইথের কিছু করার ছিল না।
ম্যাচের শেষদিকে আবার নাটক। ৮৮ মিনিটে মোহনবাগান পেনাল্টি বক্সে স্টুয়ার্টকে ফাউল করা হয়। নিশ্চিত পেনাল্টি ছিল। কিন্তু রেফারি পেনাল্টি না দিয়ে স্টুয়ার্টকে প্লে অ্যাক্টিংয়ের জন্য হলুদ কার্ড দেখান। আগেই একটা হলুদকার্ড দেখেছিলেন স্টুয়ার্ট। দ্বিজীয়বার হলুদ কার্ড দেখায় মাঠ থেকে বেরিয়ে যেতে হয় তাঁকে। বাকি সময়টা দুই দলই ৯ জনে খেলে। মোহনবাগান শেষদিকে মুম্বইকে চেপে ধরলেও ম্যাচের ফল বদলায়নি।
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে মাঠের পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। মাঠের ভেতরেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন হেক্টর ও রাহুল ভেকে। এদের সঙ্গে এসে যোগ দেন বিক্রম প্রতাপ সিং। তিন ফুটবলারকেই রেফারি লালকার্ড দেখান।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!