- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ডিসেম্বর ৫, ২০২৩
নর্থ–ইস্টের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন, আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়
জয় দিয়ে আইএসএল অভিযান শুরু করলেও শেষ ৪ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি ইস্টবেঙ্গল। ৪ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হার, একটা ড্র। অবশেষে নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল ইস্টবেঙ্গল। নর্থ–ইস্টকে ৫–০ ব্যবধানে উড়িয়ে প্রথম ছয়ে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুললে। আইএসএলে এটাই লালহলুদের সবথেকে বড় ব্যবধানে জয়। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জোড়া গোল করলেন ক্লেইটন সিলভা ও নন্দকুমার। বাকি গোলটা বোরহা হেরেরার।
আগের ম্যাচে চেন্নাইন এফসি–র বিরুদ্ধে রক্ষণাত্মক দল সাজিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। প্রথম ছয়ে থাকার জন্য এদিন নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না লালহলুদের সামনে। জয়ের লক্ষ্যে এদিন আক্রমণাত্মক দল সাজিয়েছিলেন। চোট সারিয়ে প্রথম একাদশে বোরহা হেরেরার ফেরাটাও আক্রমণভাগকে অনেকটাই শক্তিশালী করেছিল। তার সুফল পেল লালহলুদ।
ক্লেইটন সিলভার সঙ্গে এদিন বিষ্ণুকে জুড়ে দিয়েছিলেন কুয়াদ্রাত। আর পেছনে রেখেছিলেন বোরহা হেরেরাকে। এতেই বাজিমাত। শুরু থেকেই এই ত্রিভূজ আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিল নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেড রক্ষণ। ম্যাচের ১৪ মিনিটেই বোরহা হেরেরার গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণুর পাস ধরে ডি বক্সের মাথা থেকে বাঁপায়ের দুরন্ত শটে দলকে এগিয়ে দেন বোরহা। ২৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লালাহলুদের প্রাণভোমরা ক্লেইটন সিলভা। বাঁ দিক থেকে মন্দার রাও দেশাইয়ের মাপা সেন্টারে দুরন্ত হেডে গোল করেন ক্লেইটন।
প্রথমার্ধে নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেডের বলার মতো সুযোগ একটাই। ৩৫ মিনিটে ইবসন বক্সে ঢুকে পড়ে পাস নেস্টরের উদ্দেশ্যে বল বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বলে ঠিকঠাকভাবে পা ছোঁয়াতে পারেননি। ৪৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল বিষ্ণুর সামনে। একা গোলকিপারকে সামনে পেয়েও গায়ে মারেন। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে নেস্টরের দূরপাল্লার শট বাঁচিয়ে দলকে গোল খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন সিং গিল।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও দাপট নিয়ে শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। শুরুতেই নন্দ কুমারকে মাঠে নিয়ে এসেছিলেন কুয়াদ্রাত। তাতে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ে। ৬১ মিনিটে মহেশ সিংয়ের সেন্টার থেকে ৩–০ করেন নন্দ কুমার। মিনিট পাঁচেক পরেই নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ গোল করেন ক্লেইটন সিলভা। ৮১ মিনিটে মহেশ সিংয়ের পাস থেকে হালকা পুশে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে পঞ্চম গোলটি করেন নন্দ কুমার। ম্যাচের ইনজুরি সময়ের ৪ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়েছিল নর্থ–ইস্ট ইউনাইটেড। নেস্টরের পেনাল্টি শট আটকে দেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল। ৭ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে সপ্তম স্থানে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল।
❤ Support Us